Posts

টিউশন ফি’র নামে সেশন ফি নিচ্ছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো

নিজামুল হক এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি, সেশন ফি বা একাডেমিক ফি’র নামে কোনো ‘ফি’ আদায় করা যাবে না— আদালতের এমন নিষেধাজ্ঞার পর অর্থ আদায়ে নতুন কৌশল নিয়েছে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলো। সেশন ফি’ নামে আদায় না করে বিভিন্ন নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টিউশন ফিও। আর এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অভিযোগ আপত্তি অনুরোধ কোনোটিই আমলে নিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ এখন চরমে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পড়াতে গিয়ে বাড়তি আর্থিক চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। কেউ কেউ তার সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। অভিভাবকরা বলছেন, এভাবে চলতে পারে না। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ করা উচিত। গত জুন মাসে চার বছরের চেষ্টার পর একটি নীতিমালা জারি হয়। ওই নীতিমালায়ও বলা হয়েছে টিউশন ফি ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। কিন্তু এবারের বিভিন্ন স্কুলের টিউশন ফি বৃদ্ধি হিসাব করে দেখা গেছে, এ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ। গত মে মাসে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নিয়ে আদালতের নির্দেশনায় ব...

বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পাননি ৭০ জন

মুন্না রায়হান সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ সত্ত্বেও দুই বছরেও খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পাননি ৩৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া ৭০ জন। অথচ একই বিসিএসে উত্তীর্ণ আরও ৯১২ জন নিয়োগ পেয়েছেন, যাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল পিএসসি। নিয়োগ পেতে খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতর ঘুরে ঘুরে সময় কাটছে এই প্রার্থীদের। ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট এই ৭০ জনকে খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। সূত্র জানায়, পিএসসির সুপারিশের মাত্র ৩৪ দিনের মাথায় সামরিক শাসনামলে করা নিয়োগ বিধিমালা অকার্যকর হয়ে যায়। নতুন নিয়োগবিধি না হওয়ার কারণেই এ নিয়োগ আটকে আছে। তবে এরই মধ্যে ওই ৭০ জনের পুলিশ যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা   প্রার্থীরা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় নিয়োগবিধি সংশোধনের কথা বলে গত দুই বছর ধরে তাদের ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ পিএসসি তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট। আর খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা বাতিল করা হয় এর ৩৪...

মহেশপুরে ভুল অপারেশনে আবারো প্রসূতির মৃত্যু

Image
০৬ আগষ্ট, ২০১৭ ইং দুই মাসে ৪ প্রসূতি ও দুই নবজাতকের মৃত্যু মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা মহেশপুর ফাতেমা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে আবারো প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। গত দুই মাসে চার প্রসূতি ও দুই নবজাতকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার নস্তী গ্রামের তাইজুল ইসলামের কন্যা রুমা খাতুনের ২য় সন্তান প্রসব বেদনা উঠলে মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয় রোড়ে ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করে। ক্লিনিক মালিক জানান তাকে সিজার করতে হবে। তার কথা অনুযায়ী ২৮ জুলাই রাতে তাকে সিজার করেন ডাক্তার হেলেনা আক্তার নিপা। পরিবারের সদস্যরা জানান, সিজারের ৩ দিন পর এক নার্স রোগীে রুমাকে একটি ইনজেকশন পুশ করলে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় তারা তড়িঘড়ি করে রোগীকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগী মারা যায়। ক্লিনিকের মালিক ওমর আলী জানান, সে ঢাকায় অবস্থান করছে বিস্তারিত জানার জন্য ক্লিনিকে যোগাযোগের জন্য বলেন। ক্লিনিকে গেলে বন্ধ পাওয়া যায়। অপরদিকে ডাক্তার হেলেনা আকতার নিপার সাথে যোগাযোগ করেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি। সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যায়, ফাতেমা ক্লিনিক নামে কোনো ক্লিনিক তাদের অনুম...

ভেনিজুয়েলায় সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করেছে মাদুরো সরকার

দেশে ও দেশের বাইরে তীব্র বিরোধিতা বিরোধী দলগুলো বলছে মাদুরোকে ক্ষমতায় রাখতে ইচ্ছেমত সংবিধান পরিবর্তন করতে এই সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ভেনিজুয়েলায় বিতর্কিত সাংবিধানিক পরিষদ চালু করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন কয়েক মাসের সংকট কাটিয়ে শান্তি আনার জন্য সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা প্রয়োজন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বলছে মাদুরোকে ক্ষমতায় রাখতে ইচ্ছেমত সংবিধান পরিবর্তন করতে এই সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে।  রাজধানী কারাকাসে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। কয়েক শত বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এসময় কয়েকজন আহত হয়েছে। শহরের অপর প্রান্তে মাদুরোর সমর্থকরা মিলিত হয়ে সাংবিধানিক পরিষদ হওয়ায় উল্লাস করে। অনেকের হাতে সাবেক নেতা হুগো শাভেজ এবং সিমন বলিভারের ছবি ছিল। সাংবিধানিক পরিষদে মাদুরো স্ত্রী এবং ছেলেও বসছেন। দেশে এবং বিদেশে তীব্র সমালোচনা ও আন্দোলন  সত্ত্বেও সাংবিধানিক পরিষদ নির্বাচন বন্ধ করেনি মাদুরো সরকার। এই নির্বাচনকে একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছে তারা। এদিকে রা...
Image
জাপানের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন নোরু ০৬ আগষ্ট, ২০১৭ ইং   জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী টাইফুন নোরু। রবিবার সকালে দেশটির কিউশু দ্বীপে ঝড়টি আঘাত হানতে যাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে শক্তিশালী বাতাস বইছে ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জাপানে এটি চলতি বছরের পঞ্চম ঝড়। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানায়, টাইফুনটি স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১টার দিকে ইয়াকুশিমা দ্বীপ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি ধীরে ধীরে উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। খবর সিনহুয়ার। কিউশুর দক্ষিণে কাগোশিমা অঞ্চলের আমামি দ্বীপে ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাস বইছে। শনিবার সকালে দ্বীপটির কোনো কোনো অংশে এক ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা কাগোশিমার ৫ হাজার বাড়িঘরের প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছে।

রাক্কায় এখনো ২ হাজার আইএস জঙ্গি রয়েছে’

Image
সিরিয়ার রাক্কায় এখনো প্রায় দুই হাজার আইএস জঙ্গি রয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কঠোর অভিযান সত্ত্বেও তারা সেখানে অবস্থান করছে বলে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। আইএস বিরোধী যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক জানান, জুন মাসে অভিযান শুরুর পর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা আইএসের দখলমুক্ত করা হয়েছে। জোট সেনাদের অভিযানের মাধ্যমেই এসব অঞ্চল দখলমুক্ত করা হয়। ম্যাকগার্ক বলেন, জঙ্গিরা সেখানে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর সে কারণে শেষ পরিণতি হিসেবে তাদেরকে (আইএস) প্রাণও দিতে হবে। কারণ আইএস এখানে ধরাশায়ী হবেই। ২০১৪ সালে আইএস রাক্কা শহর দখল করে এবং তখন থেকেই তারা এই শহরটিকে খিলাফতের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। গত নভেম্বর থেকে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) রাক্কা শহরের দিকে বেশি অগ্রসর হতে থাকে। তাদের অব্যাহত আক্রমণের পর ৬ জুন রাক্কা দখলের জন্য বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। মার্কিন বিশেষ দূত বলেন, এটা আমাদের কাছে এখনো স্পষ্ট নয় যে ঠিক কী সংখ্যক বেসামরিক লোক বর্তমানে সেখানে রয়েছে। তবে জাতিসংঘের এক হিস...

তলপেটে মেদ অনেক বিপজ্জনক

Image
  তলপেটে মেদ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। অনেক বিপজ্জনক যে কোনও স্থানে মেদের চেয়ে। নিতম্বের উরুতে মেদ জমার চেয়েও বিপজ্জনক। তলপেটে মেদ জমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুতর সব স্বাস্থ্য সমস্যা। যেমন- হৃদরোগ, স্ট্রোক ও টাইপ২ ডায়াবেটিস। বংশগতি বা জীন হয়ত মোটা হওয়ার সঙ্গে কিছুটা জড়িত, কোথায় মেদ জমবে এর সঙ্গেও। তবে সে সঙ্গে জীবন যাপন পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ হলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়।   কেবল প্রচুর মেদযুক্ত খাবার খেলে তলপেটে মেদ জমে তা নয়, মূল ব্যাপারটা হলো বাড়তি ক্যালোরি সেই ক্যালোরি যে উৎস থেকেই হোক। বেশি ক্যালোরি খেলে কোমরে, তলপেটে জমবে মেদ। তলপেটে মেদ জমার পেছনে একক কোনও কারণ নেই। বংশগতি বা জীন, বয়স, জীবন-যাপন সবারই থাকতে পারে ভূমিকা। খাধ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে তলপেটে মেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।   ঘন চর্বি বাদ দিতে হবে, শর্করা কমাতে হবে, ফল ও সবজি খাওয়া বাড়াতে হবে। পরিমাণ কমাতে হবে আহারে প্রতি বেলার খাবারে।   বাড়তি ক্যালোরি তা মদ্য, হোক, কোমল পানীয় বা খাদ্যের বিশাল পরিমাণ থেকে হোক, সবই খারাপ। এগুলোই তলপেটে মেদ জমানোর পেছনে বৃহৎ কারণ। মদ থেকে আসা ক্যালোরি কোমর রেখাকে স...