Posts

Showing posts from February 6, 2019

শিশু অধিকার সুরক্ষায় সরকারের সফলতার কথা বললেন মাসুদ বিন মোমেন

Image
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের ২০১৯ সালের প্রথম নিয়মিত সেশন। ছবি: সংগৃহীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শিশু অধিকারের সুরক্ষা ও উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে। বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের ২০১৯ সালের প্রথম নিয়মিত সেশনে অংশ নিয়ে প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এ সব তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, শিশুর অপুষ্টি হ্রাস, প্রাথমিক পর্যায়ে শিশু ভর্তি বৃদ্ধি, বছরের প্রথম দিনে বিনামুল্যে কয়েক কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিশু সংশ্লিষ্ট ব্যয় খাত সৃষ্টি এবং শিশু ও নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ আরো তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এ বছর থেকে নির্বাহী বোর্ড-এ সদস্য ও ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অধিবেশনে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এবং নির্বাহী বোর্ডের নতুন সভাপতি সুদানের রাষ্ট্রদূত ওমর ডাহাব ফাহ্দল মোহাম্মেদ বক্তব্য প্রদান করেন। আরো পড়ুন:  ২৪৪‌টি পর্ন সাইট বন্ধ ক‌রে‌ছি, অভিযান চলবে: মোস্তাফা জ...

গলে যাচ্ছে হিমালয়!

Image
হিমালয় পর্বত্মালা। ছবি: সংগৃহীত গড় তাপমাত্রা বাড়লেই আগামী ৮০ বছরের মধ্যেই গলে যাবে হিমালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বরফ। আন্তর্জাতিক পর্বত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য। এই প্রথমবারের মতো তৃতীয় মেরুর বরফ গলার হারের উপর চালানো হল গবেষণা। আইসিআইএমওডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির হার বর্তমানের ন্যায় অপরিবর্তিত থাকলে আগামী ৮০ বছরের মধ্যেই গলে যাবে হিমালয়ের এক-তৃতীয়াংশ বরফ। এই বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে পারলেও অর্ধেক বরফ গলে যাবে হিন্দুকুশ পর্বতমালার। আর এই তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই গলে যাবে দুই-তৃতীয়াংশ বরফ। হিমালয়ের হিন্দুকুশ পর্বতমালার বরফ গলার এই দ্রুততার কারণেই আগামী ৪০ বছরের মধ্যে পুরোপুরি ভেসে যাবে এই অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেকং-সহ প্রধান ১০টি নদী ও তাদের অববাহিকাগুলি। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে এই অঞ্চলের আশে পাশের থাকা ভারত, পাকিস্তান, চিন, আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটান-সহ ৮টি দেশের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। আর এই অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার ফলে ...

ভারতের ৪০তম যোগাযোগ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ

Image
ভারতের সর্বাধুনিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট জিস্যাটএটি-৩১ ফ্রান্সের গুয়ানা থেকে বুধবার সকালে সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই বছর ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইরসো) এর এটি তৃতীয় সফল অভিযান। এরিয়ান লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে উৎক্ষেপণের ৪২ মিনিটের মধ্যে জিএসএটি-৩১ কক্ষপথে অবস্থান নেয়। ২ হাজার ৫৩৫ কেজি ওজনের জিএসএটি-৩১ ভারতের ৪০তম যোগাযোগ স্যাটেলাইট।  ইরসোর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র (এসডিএসসি) এর পরিচালক এস পান্ডিয়ান বলেন, জিস্যাটএটি-৩১ সফল উৎক্ষেপণ আমার জন্য খুবই আনন্দের। সূত্র: এনডিটিভি বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

মোদি নাকি দিদি

Image
দিদির চোখে-মুখে খেলে যাওয়া দ্যুতি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ধরনা উঠে যাচ্ছে। মেট্রো চ্যানেলের ধরনামঞ্চে বসেই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খবরটা পান। মুহূর্তেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন তিনি। মিনিট কয়েকের মাথায় উপস্থিত জনতাকে ‘খুশির’ খবরটি জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় তিনি যখন তিন দিন ধরে চলা ধরনার সমাপ্তি টানলেন, তখনো তাঁর মুখে জয়ের কথা। ধরনামঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: আইএএনএস এক অর্থে মমতার দাবি ঠিক। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার আপাতত গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। সিবিআইয়ের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এমন আদেশ বলতে গেলে তাঁর পক্ষেই গেছে। কারণ, মমতা অনমনীয়ভাবে যে কর্মসূচি (ধরনা) পালন করেছেন, তা তো সেই সিবিআইয়ের হাত থেকে রাজীবকে বাঁচাতেই। রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হার’ নিঃসন্দেহে লজ্জাজনক। সামনে লোকসভা নির্বাচন। ফাইনাল টুর্নামেন্ট। এই সময় ‘হার’ হজম করলে আসল খেলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই কিছুতেই হার স্বীকার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও ‘আনন্দিত’। ক...

চালের রাজা খাজানগর

Image
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বটতৈল মোড় থেকে ডানে গেছে আলমডাঙ্গা সড়ক। এই সড়ক ধরে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে গেলেই চোখে পড়বে চালকল ও চাতাল। একটি-দুটি নয়; যেদিকে চোখ যায় শুধুই চালকল। যেখানে দল বেঁধে কাজ করছেন নারী-পুরুষেরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন কর্মমুখর থাকে খাজানগর নামের এই এলাকা। কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পরেই এর অবস্থান। চাল উৎপাদনের জন্য এখন খাজানগর সারা দেশে পরিচিত। বিশেষ করে সরু (মিনিকেট) চালের জন্য খাজানগরের রয়েছে আলাদা নামডাক। দেশে চালের চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ এই মোকাম থেকে পূরণ হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ মোকাম থেকে শতাধিক ট্রাক চাল যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিপুল সম্ভাবনার পাশাপাশি আছে নানা সংকটও। এসব সংকট উত্তরণ করা সম্ভব হলে চাল শিল্পে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মিলমালিকেরা জানান, ১৯৭৮ সালে প্রথম খাজানগরে চালকল ও চাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় কুমিল্লা থেকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট মৌজায় এসে চালকল ও চাতাল ব্যবসার গোড়াপত্তন করেন দাদা রমিজ প্রধান নামের এক ব্যক্তি। তিনি জমি কিনে ছোট পরিসরে হাসকিং মিল স্থ...