Posts

Showing posts from May 26, 2018

ল্যাটিন আমেরিকা থেকে প্রথম ন্যাটোর অংশীদার হতে যাচ্ছে কলম্বিয়া

Image
কলম্বিয়া আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান দেশ হিসেবে ন্যাটোর ‘বৈশ্বিক অংশীদার’ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্টোশ একথা বলেন। সান্টোশ বলেন, ‘এটা বিশ্বের দরবারে কলম্বিয়ার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। আগামী সপ্তাহে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাসেলসে ন্যাটোর অংশীদার হতে যাচ্ছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাটোতে কলম্বিয়ার অন্তর্ভুক্তি বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব। আমরাই ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এই বিশেষ সুবিধা পেতে যাচ্ছি। সান্টোশ দেশটির সরকার ও ফার্ক বিদ্রোহীদের মধ্যে অর্ধশত বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। উল্লেখ্য, কলম্বিয়ার পাশাপাশি, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইরাক, জাপান ও কোরিয়া রিপাবলিক (দ. কোরিয়া), মঙ্গোলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান ন্যাটো বৈশ্বিক অংশীদার হতে যাচ্ছে।-এএফপি। ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ

মহাঅগ্ন্যুত্পাতের পরও বেঁচে ছিল দ. আফ্রিকার মানুষ

Image
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত বিশেষ এক ধরনের একটি ভোগোলিক প্রক্রিয়া। কোনো কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভস্থ গরম বাতাস, জলীয় বাষ্প, গলিত শিলা, কাদা, ছাই, গ্যাস প্রবল বেগে বেরিয়ে আসে। আর আগ্নেয়গিরি থেকে ভূগর্ভস্থ পদার্থের নির্গমনকে বলা হয় অগ্ন্যুত্পাত। বহুদিন পরপর অগ্ন্যুত্পাত সংঘটিত হয়ে থাকে। তবে একটি মহা অগ্নুত্পাত বা সুপার ভলকানো সাধারণ আগ্নেয়গিরি থেকে কয়েক লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী। পৃথিবীতে সংঘটিত সব থেকে ভয়াবহ   সুপার ভলকানোর ঘটনা ঘটেছিল ৭৪ হাজার বছর আগে সুমাত্রার একটি দ্বীপে। এটি এতোটাই তীব্র সুপার ভলকানো ছিল যে, এটি তিন টানা তিন বছর জীবিত ছিল। এর গলিত শিলা ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছিল কয়েক হাজার মাইল দূর পর্যন্ত আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে। ৭৪ হাজার বছর আগে মূলত আফ্রিকাতেই ছিল মানুষের বসবাস। ধীরে ধীরে সেই মানুষরা ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর নানা প্রান্তে। এমন তীব্র সুপার ভলকানোয় সাধারণত নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল মানবজাতির; কিন্তু ঐ ঘটনার পরও টিকে ছিল আফ্রিকার দক্ষিণ অংশের সেই প্রাচীন মানবগোষ্ঠী। ইউনিভার্সিটি অব নেভাদা লাস ভেগাসের ভূতত্ত্ববিদ জেনে স্মিথের মতে, গত ২০ লাখ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সুপ...

কোয়ালার মাছ শিকার!

Image
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় বন্যপ্রাণীর মধ্যে কোয়ালা অন্যতম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ অনেকটাই বিলুপ্তপ্রায় মিষ্টি স্বভাবের কোয়ালা। এরা দেখতে অনেকটা ভল্লুকের মতো হলেও এটির বৈশিষ্ট্য ক্যাঙ্গারুর মতো। এটি ক্যাঙ্গারুর মতো তৃণভোজী। বাচ্চা জন্মের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাচ্চাকে পেটের মধ্যে থাকা বিশেষ থলেতে রাখে মা কোয়ালারা। বেশ আদুরে স্বভাবের কোয়ালাদের ভালোবাসে অস্ট্রেলিয়ানরা। মানুষের ভালোবাসার কারণে কখনো কখনো এরাও মানুষের কাছাকাছি এসে নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে থাকে। এদিন এমনই একটি কোয়ালা বেড়াতে আসা একটি পরিবারের সঙ্গে নেমে পড়েছিল মাছ ধরতে। মূলত ঐ পরিবারের সবাই মিলে নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। অনেকক্ষণ ধরে দূর থেকে তাদের সেই মাছ ধরা পর্যবেক্ষণ করছিল কোয়ালাটি। এরপর তারা বড়শি রেখে একটু দূরে যেতেই তাদের মতো বড়শি নিয়ে বসে পড়ে কোয়ালাটি। এমন আদুরে একটি প্রাণীর এমন আদুরে কাণ্ড ঐ পরিবারের সবার বেশ মনে ধরে যায়। তাই কোনরকম বিরক্ত না হয়ে নিজেদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে সেটিকে ক্যামেরাবন্দি করেন তারা।-ইউপিআই। ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ