Posts

Showing posts from October 7, 2020

চীনকে রুখতে মিয়ানমারে তেল পরিশোধনাগার নির্মাণের প্রস্তাব ভারতের

Image
  সু চির হাতে ৩ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির তুলে দিচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। মিয়ানমারের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খাতে ক্রমাগতই বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে চীন। আর চীনের এই বিনিয়োগ ঠেকাতে এবার মিয়ানমারে ৬০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫০ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা) ব্যয়ে একটি পেট্রোলিয়াম পরিশোধনাগার নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও সেনাপ্রধান এমএম নারাভানের মিয়ানমার সফরকালে একটি পেট্রোলিয়াম পরিশোধনাগার নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঐ বৈঠকেই ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি ও সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তারা। এ সময় করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতা করতে সু চির হাতে ৩ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির ভারতের পক্ষ থেকে তুলে দেয়া হয়। ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ইয়াঙ্গুনের নিকটবর্তী থানলিনে জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারটি নির্মাণের প্রস্তাব ভারতের পক্ষ থেকেই উত্থাপন করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) প্রকল্পটিতে আগ্রহ...

উত্তপ্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের সংঘর্ষ, নিহত ৪

Image
  কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষে আরও ৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের সদস্য। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে চলা সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতভর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়। রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ক্যাম্পে ইয়াবা পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সঙ্গে আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে উভয় গ্রুপ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১ ঘণ্টা উভয় গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়েও উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াসও রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সংঘাতে আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা ইরানের

Image
  ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সতর্ক করলেন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সংঘাত ইস্যুতে। তার আশঙ্কা, জাতিগত আর্মেনীয় ও আজারিদের মধ্যে সংঘাত যেকোনও মুহূর্তে আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের নাগোরনো-কারাবাখে প্রতিবেশি দুই দেশের টানা ১১ দিনের হামলা পাল্টা-হামলায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরানের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে হাসান রুহানি বলেন, ইরানের মাটিতে যে কোনও ধরনের মর্টার বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের অবতরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সংঘাত যেন আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ না নেয়, সেদিকে আমাদের অবশ্যই মনযোগ দিতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডের মূল ভিত্তি হচ্ছে শান্তি। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা করছি। এদিকে, বিতর্কিত নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে টানা ১০ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। তবে আজারবাইজান প্রস্তুত থাকলে পারস্পরিক সমঝোতায় যেতে প্রস্তুত আর্মেনিয়া। দুই দেশের যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতায় প্রস্তুত ইরান। অঞ্চলটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। দশ দিনের  সংঘাতে প্রায় তিনশ’ মানুষের প্রাণহানি ঘ...

মিজোরামে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া তৈরির দাবি জোরদার

Image
  ফাইল ছবি মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে অবৈধ অস্ত্র আর মাদকদ্রব্য আসা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপারটি নয়াদিল্লির অনুসৃত অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির প্রতি হুমকি হয়ে উঠেছে। দিল্লিভিত্তিক সাংবাদিক জয়ন্ত কালিতা সম্প্রতি এক নিবন্ধে এ কথা বলেন। তিনি লিখেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহীরা এবং সে দেশের সাগাইং অঞ্চলে প্রশিক্ষণরত ভারতীয় বিদ্রোহীরা সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র পাচার করছে। ইদানীং পাচারের জন্য তারা মিজোরাম রাজ্যকে রুট করেছে। অনেক অস্ত্র ধরাও পড়ছে। মিজোরামের বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার দাবি তুলেছে। এ দাবি জোরদার হয়ে উঠছে। একদা বিদ্রোহীদের বড় ঘাঁটি মিজোরাম ১৯৮৬-এর শান্তিচুক্তির পর ভারতের সবচেয়ে শান্তিময় রাজ্য হিসেবে পরিচিত। পাচারকারীরা রাজ্যটিকে ফের অস্থির করতে চায়। ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। জঙ্গি, বিদ্রোহী, সমাজবিরোধী, চোরাকারবারিা অস্ত্র, মাদক, সোনা, দামি পাথর ইত্যাদি সীমান্তের এপার করছে। মিয়ানমারে বছরে ১০০ কোটি পিস ইয়াবা উৎপাদিত হয়। এর বেশির ভাগই পাচার হয় থাইল...