Posts

Showing posts from July 10, 2018

বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে পারছে না কিশোরেরা

Image
গুহায় আটকে পড়ার পর খুদে ফুটবলারদের ফিরে পাওয়ার আকুলতা জানিয়ে টুইটারে এ ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় আটকে পড়া ফুটবল দলের ১২ সদস্য, তাদের কোচসহ সবাইকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবি ও সোমবার চারজন করে আটজনকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। তবে ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাশিয়ার মস্কোতে ১৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য যেতে পারছে না তারা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা সুস্থ থাকলেও রাশিয়া যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই। এই কিশোরদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার রোনালদো, ইংল্যান্ডের জন স্টোনস ও আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। কিশোরের দল ফুটবল খেলা দেখতে যেতে পারবে কি না, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জেসাদা চকেডামরংসুক বলেন, ‘তারা যেতে পারবে না। তাদের আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তারা টেলিভিশনের পর্দায় খেলাটি দেখতে পারে।’ পরীক্ষা দিতে হবে না গুহা থেকে পাঠানো চিঠিতে ১২ কিশোর তাদের বেশি বেশি বাড়ির কাজ না দেওয়ার অনুরো...

টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখবে থাইল্যান্ডের কিশোর ফুটবলাররা

Image
স্টেডিয়ামে যেতে না পারলেও টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারবে থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরসহ কোচ। এমনটাই  জানিয়েছে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।  মন্ত্রণালয় জানায় ব্রিটেনের প্রতি এই কিশোরদের সমর্থন থাকবে। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বৃটিশ ডুবুরিরা সবার আগে তাদের কাছে পৌঁছেছিল। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. যেসাদা ছোকেদামরংসোক রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উদ্ধারকৃত কিশোর ও কোচ তখনো হয়তো স্টেডিয়ামে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় থাকবে না, কিন্তু তারা টেলিভিশনে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে পারবে। গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও কোচকে ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ফিফা। গত শুক্তবার ফিফা এ আমন্ত্রণ জানায়। উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ থাই গুহায় আটকে ছিল ১২ কিশোরসহ তাদের কোচ। আজ তাদের সবাইকে উদ্ধার সম্পন্ন করে উদ্ধারকর্মীরা। ইত্তেফাক/এসআর/নূহু

থাই গুহায় অভিযানে অংশ নেয়া ডুবুরি শ্বাসরুদ্ধকর অভিজ্ঞতা

Image
ডেনিস ডাইভিং প্রশিক্ষক ইভান কারাডিজিক। থাইল্যান্ডের গুহায় থেকে আটকে পড়া ফুটবল দলটির উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত আছেন তিনি। থাই ও আন্তর্জাতিক ডুবুরিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি দুর্গম অভিযানে অংশ নিচ্ছেন ইভান। শ্বাসরুদ্ধকার উদ্ধার অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) তিনি বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইভানের কথায় জানা যায়, আটকে পড়া কিশোরদের এমন একটি কাজ করতে বলা হয়েছিল যেটি তারা তাদের জীবনে করেনি। ১১ বছর বয়সের গুহা থেকে ডুব দিয়ে বের হয়ে আসা কারো জন্যই স্বাভাবিক ঘটনা নয়।  তিনি বলেন, আমরা এমন একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে গুহার মধ্যে ডুব দিয়ে শিশুদের বের করছি যেখানে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গুহায় আটকে থাকা পানির নিচে কোন কিছুই দৃশ্যমান নয়, সঙ্গে থাকা টর্চের আলোই একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ ক্লান্তিকর উদ্ধার অভিযানে তাই সবধরনের আতঙ্ক নিয়েই আমরা শঙ্কিত ছিলাম। উদ্ধার সরঞ্জামাদির ত্রুটি হওয়ার ভয়ও ছিল। শিশুদের মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করে ইভান জানান, এই শিশুরা শক্ত মনের অধিকারী। অবিশ্বাস্য তারা। তারা যে কতটা শান্ত ও স্মার্ট সেটি আমি এখনো বুঝতে পারি না। ইভান ডেনিস এ...

থাই গুহায় নিয়োজিত উদ্ধার কর্মীদের বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন

Image
থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় আটকা পড়া ১২ কিশোর ও  তাদের কোচকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনদিনের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের শেষদিন মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেলের দিকে চার কিশোর ও তাদের কোচকে বের করে আনা হয়।  গুহায় আটকে থাকা সবাইকে নিরাপদে বের করার খবর ছড়িয়ে পড়লে উদ্ধারকর্মীদের বন্দনা ও প্রশংসায় মেতে উঠেন বিশ্ব নেতারা। আটকে পড়া কিশোর ও উদ্ধারকর্মীদের সাহস, ধৈর্য্য ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে উদ্ধার অভিযানে নিহত থাই ডুবুরি সামান গুনানকে শ্রদ্ধারসঙ্গে স্মরণ করেছেন। বিশ্বনেতাদের মধ্যে সবার আগে টুইটারে অভিনন্দন বার্তা পাঠান আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জ্যকবডট্টির। এরপর একে এক অভিনন্দন বার্তা পাঠাতে থাকেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসো মে, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্পেনের রাজপরিবার, ভূটানের প্রধানমন্ত্রী টেসরিং টোবগে, প্রযুক্তিবিদ এলেন মাস্কসহ অন্যান্যরা।  এএস রোমা, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের টুইটার পেজ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। আগামী মৌসুমে এই ১২ ফুটবলার ও তা...

থাই গুহা থেকে ফুটবলারদের উদ্ধার করা ডুবুরিরা কারা?

Image
দীর্ঘ ১৮ দিন পর থাইল্যান্ডের গুহার ভেতর থেকে আটকা পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ডুবুরিরা। কোন গুহার ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো কোন সহজ কাজ হয়। এটা একইসঙ্গে বিপদজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ওই ডুবুরিদের এ ধরণের অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী থাকতে হয়। তা কারা এমন দুঃসাহসিক কাজ করলেন তা এখন সবার মুখে মুখে প্রশ্ন। বিবিসি বলছে, থাইল্যান্ডের ওই গুহার উদ্ধার অভিযানে ৯০ জন ডুবুরির একটি দল কাজ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫০ জনই বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। তাদের কারও দেশ বেলজিয়াম, কারও ফিনল্যান্ড, কারাও ডেনমার্ক র্কিংবা কারও দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর বাইরেও কয়েকটি দেশের ডুবুরিরা এই দুঃসাহসিক অভিযানে অংশ নেন। ওই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের এমন কয়েকজন সাহসী ডুবুরির ব্যাপারে জানা যায়, যারা কিশোরদের বের করে আনতে নিজেদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তাদের একজন বেন রেমেন্যান্ট। এই বেলজিয়ান নাগরিক মূলত ফুকেটে একটি ডুবুরির সরঞ্জামের দোকান পরিচালনা করেন। উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোত্থানাকর্নের অধীনে তিনিও এই অভিযানে যোগ দিয়েছেন। ডেনমার্কের নাগরিক ক্লস রাসমুসেন...

অবশেষে গুহা থেকে সেই ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার

Image
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত দুইদিন ৪ জন করে ৮ জন উদ্ধারের পর আজ মঙ্গলবার বাকি ৪ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন ডুবুরিরা। খবর রয়টার্সের। এর ফলে গুহায় আটকে থাকার ১৮ দিন পর সব ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল। এর আগে, তৃতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় উদ্ধার অভিযানে নামে ব্রিটিশ ও থাই ডুবুরি দল। যদিও ফুটবলারদের উদ্ধারের কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, এই গুহাটি সাপের মতো এমনভাবে পেঁচানো এবং এর ভেতরে এতো ফাটল আছে যা উদ্ধারকারীদের জন্যে যেকোন সময় বিপদ ডেকে আনতে পারতো। থাম লুয়াং নামের এই গুহাটির কোথাও কোথাও ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু, কোথাও কোথাও অত্যন্ত সরু আবার কোথাও কোথাও সেটি পানিতে পূর্ণ হয়ে আছে। গুহাটির ভেতর থেকে বাচ্চাদের বের করে আনার কাজটা কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সেটা অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠে একজন উদ্ধারকারী ডুবুরির মৃত্যুর ঘটনায়। গুহার ভেতরে অনেক জায়গা পানিতে ভরে আছে। এসব জায়গা পার হয়ে বাচ্চাদের কাছে গিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হ...