Posts

ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গা আটক

Image
আটককৃত রোহিঙ্গারা।ছবি: ইত্তেফাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- সৈয়দ আলম (৩০), মো. ইউনুছ (১৮), আমেনা খাতুন (৫০), মাজেদা খাতুন (২৫), ছেনরা খাতুন (২২), ময়ূরা বেগম (৬), আয়েশা বিবি (৩), জান্নাত (৫) ও আজিজুর রহমান (১)। আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুল আমিন জানান, এক রোহিঙ্গা নাগরিকের মাধ্যমে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ৯ রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু অবৈধভাবে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সুবিধা করতে না পেরে তারা ফের আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। আরও পড়ুন:  লোহাগাড়ায় বন্য হাতির আক্রমণে প্রহরী নিহত তিনি আরও জানান, তখন স্টেশন এলাকায় চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হয় সবাই রোহিঙ্গা। এরপর তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। তাদেরকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে...

কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ দেশে তৈরির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Image
‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরি করতে স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করা হবে। আজ বুধবার সকালে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধনকালে তিনি কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করে এবং তাদের ওষুধের মান খুবই ভাল। তাই আমি তাদেরকে বিশেষায়িত ওষুধ তৈরি করার জন্য অনুরোধ জানাতে চাই যা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য দরকার। এসব ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করার ব্যবস্থা করুন যা দ্রুত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কুষ্ঠ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তি...

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করলো চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

Image
ছবি- সংগৃহীত জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ আসর শুরু করলো চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের ঝড়ো ইনিংসে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স । মিঠুনের ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইেকট হারিয়ে ১৬২ রান তুলে সিলেট থান্ডার। মিঠুন ৪৮ বলে করেন ৮৪ রান। জনসন চার্লস করেন ২৩ বলে ৩৫ রান। চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জারর্সের হয়ে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসির হোসেন ও জু্নাঈদ সিদ্দিকির উইকেট হারিয়ে বসে চট্রগ্রাম । তবে ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জার্সরা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনের ৫২ বলে ৮৬ রান জয়ের দিকে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। কিন্তু জয়ের জন্য যখন ১৪ বলে ১৩ রান দরকার তখন এবাদত হোসেনকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৩৮ বলে ৬১ রান করেন তিনি। আরও পড়ুন:  বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বেশি করে খাওয়া উচিত: আন্দ্রে রাসেল জয়ের জন্য শেষ দুই ওভ...

২৩ মিনিটেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর-ওয়াটার বাস সার্ভিস

Image
চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়ক শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট। ২৫ কিলোমিটার এ সড়কটি বাণিজ্যিক নগরীর প্রধান সড়ক হওয়ায় যানজট নিত্যসঙ্গী হয় যাত্রীদের। যানজট সৃষ্টি হলে এক ঘণ্টার পথ যেতে লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে বিমানবন্দরের সব যাত্রী। ব্যস্ত সড়কটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিমান যাত্রীদের প্রতিনিয়তই শঙ্কা তাড়া করে ফ্লাইট মিস করার। তবে এখন আর বিমান মিস করার শঙ্কা থাকছে না। বিমান যাত্রীদের জন্য নগরীর সদর ঘাট থেকে পতেঙ্গা টার্মিনাল হয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে বিশেষ ওয়াটার বাস সার্ভিস। বিমানযাত্রীদের সঠিক সময়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে এ সার্ভিস চালু হয়েছে।  গত সোমবার সকাল ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সদরঘাটের ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে বিমানবন্দর যায় প্রথম ওয়াটার বাসটি। এর আগে একাধিকবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ সার্ভিসটি চলাচল করেছিল। জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এটির ব্যবস্থাপনায় আছে এস এস ট্রেডিং। ওয়াটার বাস পরিচালনাকারী সংস্...

দৃশ্যমান হল ২৭০০ মিটার পদ্মা সেতু

Image
ফাইল ছবি পদ্মা সেতুতে বসেছে ১৮তম স্প্যান। আজ বুধবার দুপুর ১টার সময় এ স্প্যান বসানো হয়। এর মাধ্যমে ২৭০০ মিটার পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পুরো পদ্মা সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি।                                                        বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

রীতি ভেঙে' ধুতি-শাড়ি পরে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ অভিজিৎ-এস্থার দম্পতির

Image
নোবেল পুরস্কার গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পোশাকবিধি রয়েছে- পরনে 'সাদা জামা ও কালো স্যুট'। কিন্তু, মাদার তেরেসার পর এবার সেই রীতি ভাঙলেন ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী দম্পতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডুফলো। সাদা জামা কিংবা কালো স্যুট নয়, ধুতি-শাড়িতে নোবেল গ্রহণ করলেন তারা। আর এভাবে নোবেল কমিটির কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাঙালির ঐহিত্যকে তুলে ধরলেন এই দম্পতি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর, অর্থনীতিতে দারিদ্র্য দূরীকরণে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডুফলোর তত্ত্ব অভিনব। নোবেল পুরস্কার মঞ্চেও দম্পতিকে দেখা গেল একেবারে অন্যরূপে। ঐতিহ্যপূর্ণ বাঙালি সাজে সুইডেনের রাজার কাছ থেকে নোবেল পদক গ্রহণ করলেন তারা।  নোবেল পুরস্কারের প্রাপকের নাম আগেই ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা ১০ ডিসেম্বর। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিনে এই পুরস্কার দিয়ে থাকেন সুইডেনের রাজা।  বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মঞ্চে তখন হাজার নক্ষত্রের আলো। নোবেল কমিটি নাম ঘোষণা করল অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফলো ও মাইকেল ক্রেমা...

মস্কোয় মুচকি হাসি

Image
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স সাত দশক। মানে ৭০ বছর। বেশ দীর্ঘ সময়। একটা সংগঠন ৭০ বছর পূর্ণ করলে তা উদ্‌যাপনেরই বিষয়। নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি পশ্চিমা সামরিক জোটের শীর্ষ সম্মেলন বসে লন্ডনে। সেখানে হাজির হন জোটের রথী-মহারথীরা। উপলক্ষটা উদ্‌যাপন হলেও জোটে নেতাদের মুখে হাসি ছিল না। বরং সম্মেলন ছাপিয়ে সামনে আসে পারস্পরিক দোষারোপ, হুমকি-ধমকি, উপহাস-কটূক্তি। লন্ডনে ন্যাটো সম্মেলনে এমন গুমোট অবস্থা দেখে মস্কো নির্ভার হয়ে কিছুটা মুচকি হাসি হাসতেই পারে। কারণ, ন্যাটোর মধ্যে ‘গিট্টু’ লাগলে মস্কোরই লাভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধের শুরুর দিকে মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করতেই ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় ন্যাটো। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই জোটের সদস্য ছিল ১২। জোট সম্প্রসারিত হতে হতে সদস্যসংখ্যা এখন ২৯। সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য মাথাব্যথার কারণ ছিল ন্যাটো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার জন্যও ন্যাটো বড় হুমকি হিসেবে কাজ করে। সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যাটোর সীমান্ত মস্কোর দিকে প্রায় এক হাজার মাইল অগ...