২৩ মিনিটেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর-ওয়াটার বাস সার্ভিস

২৩ মিনিটেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়ক শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট। ২৫ কিলোমিটার এ সড়কটি বাণিজ্যিক নগরীর প্রধান সড়ক হওয়ায় যানজট নিত্যসঙ্গী হয় যাত্রীদের। যানজট সৃষ্টি হলে এক ঘণ্টার পথ যেতে লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে বিমানবন্দরের সব যাত্রী। ব্যস্ত সড়কটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিমান যাত্রীদের প্রতিনিয়তই শঙ্কা তাড়া করে ফ্লাইট মিস করার।
তবে এখন আর বিমান মিস করার শঙ্কা থাকছে না। বিমান যাত্রীদের জন্য নগরীর সদর ঘাট থেকে পতেঙ্গা টার্মিনাল হয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে বিশেষ ওয়াটার বাস সার্ভিস। বিমানযাত্রীদের সঠিক সময়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে এ সার্ভিস চালু হয়েছে।  গত সোমবার সকাল ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সদরঘাটের ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে বিমানবন্দর যায় প্রথম ওয়াটার বাসটি। এর আগে একাধিকবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ সার্ভিসটি চলাচল করেছিল। জনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এটির ব্যবস্থাপনায় আছে এস এস ট্রেডিং। ওয়াটার বাস পরিচালনাকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সদরঘাট থেকে সকাল ৭টা, ৮টা, দুপুর সোয়া ১২টা, বেলা ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টায় পাঁচটি ওয়াটার বাস পতেঙ্গার উদ্দেশে সদরঘাট ছেড়ে যাবে। ফিরতি পথে পতেঙ্গা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা, বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা ২টা ২৫ মিনিট, বিকাল সাড়ে ৪টা ও রাত সোয়া ৯টায় সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। প্রতিদিন ১০ বার আসা-যাওয়া করবে এটি। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বিমানযাত্রীদের সুবিধার্থে কর্ণফুলী নদীতে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা গত তিন বছর ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে। গত এক মাস ধরে কর্ণফুলী নদীতে ওয়াটার বাস চলাচলে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। বিমানবন্দরে আকাশপথে উড়োজাহাজের সময়সূচি অনুযায়ী ওয়াটার বাস চলাচলের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি, বিমানযাত্রীরা এর সুফল পাবেন। এস এস ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বাব হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি ওয়াটার বাস নামানো হয়েছে। জানুয়ারিতে যুক্ত হবে আরও দুটি। এ ছাড়া এই নৌপথে নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। বিমানের যাত্রীদের ২৩ মিনিটে শাহ আমানত অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রতিটি এসি ওয়াটার বাসে ২৫টি আসন রয়েছে। বাসের ভাড়ার মধ্যেই ওয়াইফাই সুবিধা ও পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত শাটল বাসের সেবা দেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, বিমানবন্দরমুখী চট্টগ্রাম বন্দর সড়কে যানজট কমাতে এই নৌপথে যাত্রী পরিবহন সেবা চালুর উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ সদরঘাট ও পতেঙ্গা দুই স্টেশনে টার্মিনাল ও জেটির সুবিধা তৈরি করেছে। যাত্রী পরিবহন সেবা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দিয়েছে চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) ও এস এস ট্রেডিংকে। তারা বন্দরকে বার্ষিক ভাড়া দিয়ে এই নৌপথে যাত্রী পরিবহন করবে।
Logo of Bangladesh Pratidin

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা