মস্কোয় মুচকি হাসি
- Get link
- X
- Other Apps

নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি পশ্চিমা সামরিক জোটের শীর্ষ সম্মেলন বসে লন্ডনে। সেখানে হাজির হন জোটের রথী-মহারথীরা।
উপলক্ষটা উদ্যাপন হলেও জোটে নেতাদের মুখে হাসি ছিল না। বরং সম্মেলন ছাপিয়ে সামনে আসে পারস্পরিক দোষারোপ, হুমকি-ধমকি, উপহাস-কটূক্তি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধের শুরুর দিকে মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করতেই ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় ন্যাটো। শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই জোটের সদস্য ছিল ১২। জোট সম্প্রসারিত হতে হতে সদস্যসংখ্যা এখন ২৯।
সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য মাথাব্যথার কারণ ছিল ন্যাটো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার জন্যও ন্যাটো বড় হুমকি হিসেবে কাজ করে। সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যাটোর সীমান্ত মস্কোর দিকে প্রায় এক হাজার মাইল অগ্রসর হয়েছে। বিষয়টি মস্কোকে দারুণভাবে উদ্বেগে ফেলে।

ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই ন্যাটোর বিরুদ্ধে কামান দাগেন। তিনি প্রকাশ্যে ন্যাটোকে ‘সেকেলে’, ‘বাতিল’ বলে বর্ণনা করেন। ন্যাটোর খয়-খরচা নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেন তিনি। ডলারের ‘খোটা’ দিয়ে ন্যাটোকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বোঝা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেক দিন ধরে মনে মনে যেমনটা চাচ্ছিলেন, ট্রাম্প ঠিক তা-ই করতে শুরু করেন।

সিরিয়া যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে। ন্যাটোকে না জানিয়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে হুট করে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। আর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে তুরস্ক। এ নিয়ে ন্যাটোর অন্য সদস্যদের সঙ্গে তুরস্কের ঝামেলা বাধে। এমনকি তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় ন্যাটোর ইউরোপীয় দেশগুলো।


ন্যাটোকে ‘মৃতপ্রায়’ বলায় লন্ডনে মাখোঁকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন ট্রাম্প। মাখোঁও ছেড়ে কথা বলেননি।
শুধু তা-ই নয়, লন্ডনে ট্রাম্পকে নিয়ে হাসি-তামাশাও করেন মাখোঁসহ অন্য ন্যাটো নেতারা। এতে আরও চটেন ট্রাম্প।
ন্যাটো নেতাদের মধ্যকার টানাপোড়েনে লন্ডনের উৎসব মাটি হয়। ন্যাটোর এই ‘লেজেগোবরে’ হালে পুতিনের চেয়ে কে আর বেশি খুশি হতে পারেন!

- Get link
- X
- Other Apps
Comments