Posts

Image
বগুড়ায় যমুনা নদীর বাঁধে ১৮টি পয়েন্টে ফাটল বগুড়া অফিস ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ১৮:৪৪ মিঃ   বগুড়ায় যমুনা নদীর বাঁধের ১৮টি পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলা অংশের এসব ফাটলরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় জনতাও।   এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলেও বুধবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে নাগর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কাহালু উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আত্রাই নদীর পানির কারণে নিমজ্জিত হয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালি, ইছামারা, রৌহাদহ, কুতুবপুর, শেখপাড়া, দিঘলকান্দি, হাটশেরপুর ও পারতিতপরল পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওইসব পয়েন্ট দিয়ে নদী হতে লোকালয়ের দিকে পানি ঢুকছে। এছাড়া ধুনট উপজেলার চুনিয়াপাড়ায় মানাস নদীর মুখসহ যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে শ...
Image
অক্সফোর্ডে ভর্তির সুযোগ পেলেন মালালা অনলাইন ডেস্ক ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ১৯:২৬ মিঃ সবচেয়ে কমবয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মালালা ইউসুফজাই এ লেভেল ফলাফলের ভিত্তিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অক্সফোর্ডে লেডি মার্গারেট হলে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করবেন মালালা।   বর্তমানে বার্মিংহামে বসবাসরত মালালা বৃহস্পতিবার টুইটারে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। টুইটারে এ লেভেল পাস করা সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে অক্সফোর্ডে প্লেসমেন্ট পাওয়ার কথা জানান। ২০১২ সালে নারী শিক্ষা অধিকারের জন্য প্রচারণা চালিয়ে তালেবানের গুলিতে প্রায় মারাই গিয়েছিলেন মালালা।   উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় পাকিস্তানে তালেবানের অধীনে লেখা তার বেনামী ডায়েরি প্রকাশিত হওয়ার পরে স্কুলের বাসে করে ফেরার সময় তার উপর হামলা হয়। এতে মালালাসহ তার আরো দুই সহপাঠী আহত হয়। সেই ঘটনার পরে মালালা সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন এবং পুরো পরিবারসহ যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে চলে যান। ২০১৪ সালে কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। গত এপ্রিলে সবচেয়ে কমবয়সে জাতিসংঘের শান্তির দূত হন মালালা। ...
Image
এইচউব্লিউপিএল শান্তি সম্মেলনে যাচ্ছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারুন অনলাইন ডেস্ক ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ১২:০৩ মিঃ   বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, জঙ্গিবাদ নির্মূল, আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করা সহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘পিস এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ফর স্প্রেডিং অ্যা কালচার অব পিস’ শীর্ষক এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়ার এইচউব্লিউপিএল, যা ইউএনডিপিআই এর একটি সংস্থা। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করবেন।   বাংলাদেশ থেকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন বিশিষ্ট  গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খ ম হারুন। তিনি এইচউব্লিউপিএল এর আগামী দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, “দক্ষিণ কোরিয়ার এই শান্তি সম্মেলন সারা বিশ্বের শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”   সম্মেলনের আরেক অংশগ্রহণকারী নেপালের ইউরো স্কুলের অধ্যক্ষ মিসেস শৈলজা অধিকারী বলেন “আমি অত্যন্ত আশাবাদী সিওলে অনুষ্ঠিতব্য এই...
Image
৪৬ বছরে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি রেজাউল হক কৌশিক ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ০৯:২০ মিঃ   দেশের বাণিজ্য ঘাটতি আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আমদানি ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) যে পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে স্বাধীনতার পর তা কখনো হয়নি। অপরদিকে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। অর্থনীতির গতিধারাতে সাধারণত: আমদানি ব্যয় বাড়লে রপ্তানি আয়ও বাড়ে। কারণ বিদেশ থেকে যেসব কাঁচামাল আমদানি   করা হয় তার একটি অংশ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি হয়। অতীতে এমন হয়ে আসলেও এবার ব্যাতিক্রম। আশংকা করা হচ্ছে আমদানির নামে ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে।   রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয়েও কাঙ্খিত গতি আসেনি। বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে তিন হাজার ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত দেড় দশকে এত কম প্রবৃদ্ধি হয়নি।   একই সময়ে আমদানিতে বাংলাদেশের ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছর...
Image
এক যুগেও শেষ হয়নি বিচার দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১২তম বার্ষিকী আজ ইত্তেফাক রিপোর্ট ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ১০:৪৭ মিঃ   এক যুগেও দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার সব মামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ১৬১ টি মামলা দায়ের হয়। এই এক যুগে ১০২ টি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। ৫৯ টি মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তবে এগুলো কবে শেষ হবে সে ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।   ২০০৫ সালের এই দিনে সারাদেশের ৬৩টি জেলার (মুন্সীগঞ্জ বাদে) ৫ শ’র বেশি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’য়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি জঙ্গিরা প্রকাশ্যে তাদের অবস্থান জানান দেয়। ওই হামলায় দু’জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও নামে-বেনামে বারবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। বর্তমানে নতুন নামে, ভিন্ন পরিচয়ে আবারো সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে তারা।   গত বছরের ১ জুলাই দেশের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর...
Image
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মাদের রুখে দিতে হবে : ছাত্রলীগ সভাপতি ইত্তেফাক রিপোর্ট ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং ১৭:১৮ মিঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি চালুর মাধ্যমে এসব প্রেতাত্মা রুখে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।    ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতীয় শোক দিবসে হামলার পরিকল্পনা ও সারাদেশ অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে কাল পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে বলা হয়, খালেদা-তারেক গংদের নির্দেশে ও অর্থায়নে জামাত-শিবির এ হামলার পরিকল্পনা করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।   সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ১৫ আগস্টের শোক কোটি বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে আছে। এই শোক আমাদের সাহস জোগায়, এই শোক বাংলাদেশকে একটি আদর্শিক ধারায় উন্নতির লক্ষে নিয়ে যাওয়ার প্রধান হাতিয়ার। আজ কোটি তরুণের হৃদয়ে বঙ্...
Image
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ১৭ আগষ্ট, ২০১৭ ইং প্রকৃতির বৈরিতা মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং ব্যাস্টিক অর্থনীতির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সম্প্রতি হাওর অঞ্চলে প্রকৃতির বৈরিতার কারণে ব্যাপক শস্যহানি ঘটেছে, মানুষের দুর্ভোগের সীমা-পরিসীমা নেই। আবার পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসে মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। আর চট্টগ্রাম নগরীতে বৃষ্টি মানেই নদীর সৃষ্টি হওয়া। আসলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা বরাবরই পারঙ্গম। কিন্তু প্রকৃতি যখন বৈরি হয়ে ওঠে তখন মানুষের কিছুই করার থাকে না। তবে প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটছে। এ পরিবর্তনের কারণে বন্যায় জামালপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বহিস্থ কারণসমূহের পাশাপাশি আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু কারণও রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় যেভাবে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করা হয় তাতে প্রকৃতির বৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতির নির্মমতা আপন ...