বগুড়ায় যমুনা নদীর বাঁধে ১৮টি পয়েন্টে ফাটল
বগুড়ায় যমুনা নদীর বাঁধের ১৮টি পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলা অংশের এসব ফাটলরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় জনতাও।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলেও বুধবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে নাগর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কাহালু উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আত্রাই নদীর পানির কারণে নিমজ্জিত হয়েছে নন্দীগ্রাম উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালি, ইছামারা, রৌহাদহ, কুতুবপুর, শেখপাড়া, দিঘলকান্দি, হাটশেরপুর ও পারতিতপরল পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওইসব পয়েন্ট দিয়ে নদী হতে লোকালয়ের দিকে পানি ঢুকছে। এছাড়া ধুনট উপজেলার চুনিয়াপাড়ায় মানাস নদীর মুখসহ যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে শিমুলবাড়ীর দুটি পয়েন্ট, বানিয়াজানের দুটি পয়েন্ট, রঘুনাথপুরের একটি পয়েন্ট এবং পুকুরিয়া ভুতবাড়ীর তিনটি পয়েন্টের ফাটল দিয়ে পানি ঢুকছে। এই দুই উপজেলার ১৮টি পয়েন্টেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পানি ঢোকা বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীল বাঁধে ফাটল নেই দাবি করে বলেন, 'সোনাতলা থেকে ধুনট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অন্তত ১০০টি স্থানে ইদুরের গর্ত দেখা দিয়েছে। যেখান দিয়ে পানি চুইয়ে লোকালয়ের দিকে ঢুকছে।' পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, 'বাঁধের যেসব স্থান দিয়ে পানি চোয়াতে শুরু করেছে সেখানে লোকজন কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীও সহযোগীতা করছে। আশা করছি সবস্থানে পানি ঢোকা বন্ধ হবে।'
ইত্তেফাক/জামান
Comments