কফ-কাশির নেপথ্য কারণ
প্রায় সব বক্ষব্যাধিতেই কফ-কাশি দেখা দেয়। কিছু হৃদরোগেও কফ-কাশি লেগে থাকে। প্রত্যেকের জীবনেই কাফ-কাশির কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা থাকবেই। প্রশ্ন হলো কফ-কাশি কেন হয়? মানুষের দেহে দুটি ফুসফুস রয়েছে। এ ফুসফুসগুলোর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য বড়-ছোট শ্বাসনালি। সেই শ্বাসনালি বা ব্রঙ্কাস থেকেই তৈরি হয় কফ। কফ-কাশির নাম নিলে যে রোগের কথা প্রথমেই মনে আসে সেটি হলো যক্ষ্মা। যক্ষ্মা হলে কাশি লেগেই থাকে। প্রথমদিকে কফ পাতলা শ্লেষ্মা জাতীয় থাকে। অনেক সময় জীবাণু সংক্রমিত হয়ে সেটা থেকে হলুদ হয়ে যায়। একজন রোগী যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবিরাম কাশতে থাকে তবে তাকে অবশ্যই কফ পরীক্ষার জন্য তাগিদ দিতে হবে। কফে যদি যক্ষ্মা জীবাণু ধরা পড়ে তবে তো কথাই নেই। চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে যক্ষ্মার ওষুধ শুরু করে দেবেন। অনেক ক্ষেত্রে আমরা পর পর তিন দিন কফ পরীক্ষা করতে রোগীকে উপদেশ দিই। যদি এই তিন দিনের কফে যক্ষ্মা জীবাণু ধরা না পড়ে তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী তিনি যক্ষ্মা রোগী নন। কিন্তু অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, মাত্র দশ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর কফে যক্ষ্মা জীবাণু ধরা পড়ে। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগ নির্...