Posts

বরফে ঢাকা ৬ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে বিয়ের আসরে বরযাত্রী!

Image
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল বেশ কয়েকমাস আগে। অতিথিদের তালিকাও ছিল যথেষ্ট লম্বা। কিন্তু বিয়ের দিন যতই এগিয়ে আসতে থাকে, ততই তুষারে ঢেকে যেতে শুরু করল চতুর্দিক। তা দেখে অতিথিরা অনেকেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করলেন। কিন্তু বরযাত্রীরা ঘটালেন অবাক কাণ্ড। ৬ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে বিয়ের আসরে পৌঁছলেন তারা। ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে। ত্রিইয়ুগিনারায়ণ গ্রাম থেকে প্রায় ৮০ জন বরযাত্রী রওনা দিয়েছিলেন বিয়ের আসরের উদ্দেশে। হঠাৎই তুষারপাত শুরু হয়। আটকে পড়ে গাড়ি। কিন্তু সময়ের মধ্যে বিয়ের আসরে পৌঁছাতে না পারলে অনুষ্ঠানই যে পণ্ড হয়ে যাবে! তাই বাধ্য হয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে স্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন হবু বর। বরযাত্রীর দলে ছিলেন পাত্রের মামা, বোনসহ মাত্র ২৫ জন।  বরযাত্রীর দলে ছিল বেশ কয়েকজন খুদেও। পাত্রের পিছু পিছু গাড়ি থেকে নেমে বাধ্য হয়ে হাঁটতে শুরু করে তারাও। তাতে যদিও কিছুই আসে যায় না শিশুদের। বরং বরফের মাঝে হাঁটতে বেশ আনন্দই পায় তারা। দিব্যি খেলা করতে করতেই গন্তব্যে পৌঁছায় শিশুরা। বরের ভাই আশিষ গায়...

আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম

Image
স্বর্ণের অলংকার। ছবি: সংগৃহীত একমাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে আবারো বাড়লো স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে স্বর্ণের নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল জানান, 'আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারেও বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বাজারেও স্বর্ণ ও রূপার দাম ওঠা-নামা করে থাকে। এ জন্য মঙ্গলবার থেকে বাড়তি দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দাম বহাল থাকবে'। এর আগে গত ২ জানুয়ারি প্রতি ভরি স্বর্ণে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫১৬ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। তবে এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে আবারো বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। নবনির্ধারিত দামের তালিকা অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণে প্রতি ভরিতে বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৬ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর...

চীনে মানবাধিকার আইনজীবীর কারাদণ্ড

Image
চীনের স্বনামধন্য মানবাধিকার আইনজীবী ওয়াং কুয়ানঝাং। রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের দায়ে চীনের স্বনামধন্য মানবাধিকার আইনজীবী ওয়াং কুয়ানঝাংকে আজ সোমবার সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ৪২ বছর বয়সী ওয়াং বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আদেশে সম্পত্তি হারানো মানুষের হয়ে আইনি লড়াই চালাতেন। এ ছাড়া তিনি নিষিদ্ধ আধ্যাত্মিক গোষ্ঠী ফালুন গংয়ের অনুসারী। ২০১৫ সালে ব্যাপক ধরপাকড়ের সময় গ্রেপ্তার আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে ওয়াংও ছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীন সরকার মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবীদের প্রতি বেশ চড়াও। তিয়ানজিনের আদালত রায়ে বলেন, ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁকে চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। তাঁর রাজনৈতিক অধিকার পাঁচ বছরের জন্য রহিত করা হয়েছে। রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই বিচার হয়েছে। এখানে কোনো সাংবাদিকের প্রবেশাধিকার ছিল না। এ ছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিবিসির সাংবাদিক সুডওয়ার্থ বেইজিং থেকে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিরোধীদের কাছে একটি বার্তা দিল। যাঁরা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করবে...

গ্রামের নাম পাকিস্তান, অথচ সব বাসিন্দাই হিন্দু

Image
প্রতীকী ছবি ভারতের বিহারে এক চিলতে একটি গ্রাম, যার নাম পাকিস্তান। যেখানে ২০১৫ সালে জনসংখ্যা ছিল ৩০০। এর মধ্যে একটিও মুসলমান পরিবার নয়। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, দেশ বিভাগের আগে বিহারের বর্তমান পূর্ণিয়া জেলাটি ছিল তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তানের একেবারে পাশেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলেই চলে যান পূর্ব পাকিস্তানে। যাওয়ার আগে নিজেদের জমি-জায়গা সবই তারা দিয়ে যান ভারতের হিন্দু বাসিন্দাদের। তারপরই এই গ্রামের নামকরণ করা হয় পাকিস্তান। ঘরছাড়া মুসলমান প্রতিবেশীদের সম্মানেই এমন করেছিলেন পূর্ণিয়ার শ্রীনগর ব্লকের ভারতীয়রা। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সেই ভারতীয়রা চান না তাদের গ্রামের নাম বদল হোক। উপরন্তু তারা মনে করেন ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কে উন্নতি হোক। বন্ধ হোক যুদ্ধ-অশান্তি। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর ৭২ বছর কেটে গেলেও ভারতের এই পাকিস্তানের কোনও উন্নতি হয়নি বলে আক্ষেপ করেছেন সেখানের বাসিন্দারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ফার্স্টপোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাস্তা, হাসপাতাল, স্কুল কিছুই নেই এই গ্রামে। সামান্য হেল্‌থ সেন্টারও নেই।  নিজেরাই টাকা জমিয়ে কি...

পুতিনের তিন মিত্র থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল যুক্তরাষ্ট্র

Image
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ান ওলিগারচ ওলেগ দেরিপাসকা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ওলিগারচ ওলেগ দেরিপাসকার। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়াম শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাসাল, এন‍+ গ্রুপ ও জেএসসি ইউরোসিবএনারগোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এগুলো দেরিপাসকার নিয়ন্ত্রণে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব খাটানোর অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত ওলিগারচ। ডেমোক্র্যাটরা চেয়েছেন ওলিগারচের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকুক। গত এপ্রিল মাসে ইউএস রাসাল, এন‍+ গ্রুপ ও জেএসসি ইউরোসিবএনারগোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়া থেকে লাভবান হচ্ছে। বিশ্বে ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে এটি যুক্ত। দেরিপাসকার সঙ্গে জড়িত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম প্রতিষ্ঠান রাসাল। এ মাসের শুরুতে রাসালের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার চেষ্টা বন্ধ করে দেন সিনেটে রিপাবলিকানরা। রিপাবলিকান ...

নারীর ওড়না টান দিলেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, ভিডিও ভাইরাল

Image
নারীর ওড়না টেনে ধরেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ছবি: সংগৃহীত মাইক ছিনিয়ে নিতে গিয়ে নারীর বুক থেকে ওড়না নামিয়ে ফেলে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মহীশূরে একটি অনুষ্ঠানে ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সিদ্দারামাইয়ার আচরণে চিৎকার শুরু করে ওই নারী। অপরিচিত ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি সিদ্দারামাইয়াকে জানাতে যান, বিধায়ক যতীন্দ্রের সাক্ষাত্‍‌ তিনি পাচ্ছেন না। যতীন্দ্র হলেন সিদ্দারামাইয়ার ছেলে। ঠিক ওই মুহূর্তেই রেগে যান সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। ও নারীর হাত থেকে মাইকটি কেড়ে নিতে যান তিনি। তখনই বেধে যায় বিপত্তি। মাইকের বদলে সিদ্দারামাইয়ার হাতে চলে আসে নারীর ওড়না। এসময় চিত্‍কার-চেঁচামেচি শুরু করেন ওই নারী। আরো পড়ুন:  রোড রোলারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন পাত্র ইত্তেফাক/বিএএফ  ওড়না  মুখ্যমন্ত্রী 107 Shares

মহাশূন্যে হার্ট ফ্যাক্টরি!

Image
ফাইল ছবি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রতি বছর দুনিয়াজুড়ে হার্টের রোগী বাড়ছে। বাড়ছে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে হার্ট প্রতিস্থাপন করারও দরকার পড়ে। কিন্তু চাইলেই তো আর প্রতিস্থাপন করার জন্য হার্ট মেলে না। কারো হূদযন্ত্র নিতে গেলে অনেক মানদন্ড মেনে চলতে হয়, যা অনেক কঠিন। তাই চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের চোখ এখন কৃত্রিম হার্টের দিকে। কিন্তু কৃত্রিম হূদযন্ত্র তৈরীও অনেক কঠিন কাজ। ল্যাবরেটরিতে তৈরী বেশিরভাগ হূদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে না। যাদের ক্ষেত্রে সেটা কাজ করছে তারা ভাগ্যবান। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, তারা সমাধান পেয়ে গেছেন। আর সেই সমাধান হচ্ছে পৃথিবীর পরিবর্তে মহাশূন্যে হার্ট তৈরীর কারখানা স্থাপন! বিষয়টি সায়েন্স ফিকশনের মত শোনালেও খবরটি মিথ্যা নয়। এক দশকের মধ্যেই হার্ট প্রতিস্থাপনে শতভাগ সফলতা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এই অতি আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীতে বসে নিখুঁত কৃত্রিম হার্ট তৈরীর ক্ষেত্রে বড় বাধা। গত বছর বিশ্বে ৭ হাজার ৬শটি হার্ট প্রতিস্থাপন হয়েছে। হাজার হাজার রোগী এখনো অপারেশনের অপেক্ষায় আ...