মহাশূন্যে হার্ট ফ্যাক্টরি!

মহাশূন্যে হার্ট ফ্যাক্টরি!
ফাইল ছবি
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রতি বছর দুনিয়াজুড়ে হার্টের রোগী বাড়ছে। বাড়ছে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে হার্ট প্রতিস্থাপন করারও দরকার পড়ে। কিন্তু চাইলেই তো আর প্রতিস্থাপন করার জন্য হার্ট মেলে না। কারো হূদযন্ত্র নিতে গেলে অনেক মানদন্ড মেনে চলতে হয়, যা অনেক কঠিন।
তাই চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের চোখ এখন কৃত্রিম হার্টের দিকে। কিন্তু কৃত্রিম হূদযন্ত্র তৈরীও অনেক কঠিন কাজ। ল্যাবরেটরিতে তৈরী বেশিরভাগ হূদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে না। যাদের ক্ষেত্রে সেটা কাজ করছে তারা ভাগ্যবান।
কিন্তু গবেষকরা বলছেন, তারা সমাধান পেয়ে গেছেন। আর সেই সমাধান হচ্ছে পৃথিবীর পরিবর্তে মহাশূন্যে হার্ট তৈরীর কারখানা স্থাপন! বিষয়টি সায়েন্স ফিকশনের মত শোনালেও খবরটি মিথ্যা নয়। এক দশকের মধ্যেই হার্ট প্রতিস্থাপনে শতভাগ সফলতা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এই অতি আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীতে বসে নিখুঁত কৃত্রিম হার্ট তৈরীর ক্ষেত্রে বড় বাধা।
গত বছর বিশ্বে ৭ হাজার ৬শটি হার্ট প্রতিস্থাপন হয়েছে। হাজার হাজার রোগী এখনো অপারেশনের অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু হার্ট পাওয়া যাচ্ছে না। এই সংকটের কথা উল্লেখ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, ল্যাবে তৈরী করা সবগুলো হার্ট সঠিকভাবে কাজ করে না। মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাঝে কৃত্রিম হার্ট তৈরী করলে তা ত্রুটিমুক্ত হবে। কৃত্রিম হূদযন্ত্র তৈরী করতে গেলে ঝাঁকুনিমুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।
কিন্তু পৃথিবীতে সেই পরিবেশ পাওয়া কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের টেকশট নামক প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচ বয়েলিং বলেছেন, তারা কয়েক বছরের মধ্যেই মহাশূন্যে বাণিজ্যিকভাবে হূদযন্ত্র তৈরীর কারখানা চালু করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আশা করা যায় ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কৃত্রিম হূদযন্ত্র তারা সরবরাহ করতে পারবেন। এটা চিকিত্সাবিজ্ঞানে এক বিরাট বিপ্লব বয়ে আনবে।-বিবিসি
ইত্তেফাক/আরকেজি

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা