Posts

নির্বাচনে বিরোধী দল কি অংশ নেবে?

Image
জাতি অনেকটা উদগ্রীব হয়ে আছে আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিকে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এবং পুনর্গঠিত কমিশন তাদের পরিকল্পিত কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ছোট-বড় প্রায় সব রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন আগ্রহী প্রার্থী, নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচন ব্যবসায়ীরাও তাদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে।   সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল ও কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ তথা নির্বাচনী বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধানের যে বিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে বিরোধী সব পক্ষ সংবিধানের সেই ধারার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজি নয় বলেই মনে হচ্ছে। বিরোধী পক্ষ বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সংবিধানের কতিপয় বিলুপ্ত ধারা পুনর্বহালের জোর দাবি জানাচ্ছে, অন্যথায় তারা নির্বাচনে না যাওয়ার মনোভাব প্রকাশ করছে। তবে বর্তমান সংবিধানের আর একটি বিকল্প ধারার অধীনে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে সেই নির্বাচনে হয়তো বিরোধী পক্ষের অংশগ্রহণ করার সম্ভা...

যে কারণে ইসলাম গ্রহণ করেন বক্সার মোহাম্মদ আলী!

Image
মোহাম্মদ আলী। বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি। বক্সিংয়ে ছিলেন অপরাজেয়। ৬১টি ম্যাচের মধ্যে ৫৬টিতেই বিজয়ী। তাকে বলা হত দ্য গ্রেটেস্ট, কিং অব বক্সিং ও দ্য পিপল'স চ্যাম্পিয়ন। এ কিংবদন্তী বক্সারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলে ১৯৪২ সালে। ১৯৬৪ সালে তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। আর তখন থেকেই তার ক্যারিয়ার তুঙ্গে উঠতে থাকে। এবং তিনি মার্কিন মুসলিম তরুণদের আইকনে পরিণত হন। এর কয়েক বছর পরই তার স্ত্রী বেলিন্ডার সঙ্গে আলীর ইসলামে ধর্ম গ্রহণের কারণ উল্লেখ করেন। যা এতদিন অজানাই ছিল। বেলিন্ডা বলেন, আলী নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিল। তিনি অহঙ্কারী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি এমন ভাব করছিলেন যে নিজেকে সর্বশক্তিমান ভাবতে শুরু করলেন। তখন বেলিন্ডা তাকে বলেন, তুমি হয়তো নিজেকে সবচেয়ে মহান বা শক্তিশালী বলতে পার। কিন্তু তুমি কখনোই সর্বশক্তিমান আল্লাহর চেয়ে শক্তিশালী ও মহান নও, আর তা হতেও পারবে না। এরপর বেলিন্ডা আলীকে বললেন, তিনি কেন মুসলমান হয়েছেন তা কাগজে লেখার জন্য। আলীও বাধ্য ছেলের মতো এক তা কাগজ ও একটি নীল কলম নিয়ে লিখতে বসে গেলেন। কাগজে আলী তার জন্মস্থান লুইসভিলে তার কৈশোরের দিনগুলো নিয়ে লেখে...

রেস্ট হাউজে অনৈতিক কাজে জড়িত ১৪ নারী-পুরুষ আটক

Image
সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ একটি রেস্ট হাউজ থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- সানজিদা, তানিয়া, প্রিয়া, নাসরিন, রুমা আক্তার, আশা, প্রিয়া বেগম, কল্পনা আক্তার, বজলুর রহমান, মজনু মিয়া, সালাউদ্দিন, শাহ আলম, আবুল খায়ের ও ইমন। নগরীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, আটকতদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা ওই রেস্ট হাউজে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। বিডি প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

চাচির পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা

Image
মোবাইল চুরি নয়, প্রেমিকের সঙ্গে চাচির অপ্রীতিকর পরকীয়ার ঘটনা দেখে ফেলার কারণেই পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রী আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন আটক তমুজা বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মো. সৈয়দুজ্জামান। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আজিজার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে চাচি ও তার লোকজন। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের দগ্ধ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজন ও পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অভিযোগে আজিজাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে প্রথমে নির্যাতন এবং পরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা খৈনকুট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্রী আজিজা খাতুন (১৩) খৈনকুট গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার বাবা সাত্তার স্থানীয় একটি মুরগির খামারে চাকরি করেন। এদিকে সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আজিজার চাচি বিউটি বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় মামলা করেছেন সাত্তার মিয়া। মামলার অন্য আসামিরা হলো বিউটি বেগমের মা সানোয়ারা ব...

প্রেমিকার সাথে দেখা করে ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা

Image
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিকার সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে জীবন বেপারী (৩০) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামের মিন্টু মৃধার বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনার পর মিন্টু আত্মগোপন করলেও তার মেয়ে সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।   নিহত জীবন পার্শ্ববর্তী দশমিনা উপজেলার সাংকিপুরা গ্রামের জিতেন্দ্র বেপারীর ছেলে এবং বাউফলের উলানিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে পার্শ্ববর্তী গলাচিপার উপজেলার উলানিয়া গ্রামে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো। গোসিংগা এলাকার একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমিকা তৃষ্ণার সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে সন্দেহজনক মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, জীবন বেপারীর সাথে কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তৃষ্ণার পরিচয় হয়। গত শনিবার রাতে তৃষ্ণার বাবা-মা বাড়ি ছিলো না। এই সুযোগে তৃষ্ণার আহ্বানে ওই রাতে তার সাথে দেখা করতে যায় প্রেমিক জীবন। রাতে দেখা সাক্ষাৎ শেষে রবিবার ভোরে বাড়ি ফেরার পথে গোসিংগা গ্রামের মিন্ট...

ডোকালাম সীমান্তে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নজর রাখবে ভারত

Image
পঞ্চশীল' চুক্তিতে চীন যতই আবদ্ধ হোক, ডোকালামে যে তাদের সেনা আধিপত্য বজায় রাখছে, তা বিভিন্ন সময়ে হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। ডোকলায় চীনা সেনার গতিবিধি নজর রাখতে তাই সদা সতর্ক সাউথ ব্লক। নজরদারী চালাতে এবার অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত। ডোকলামসহ ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার এলাকা উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারী চালাবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিস। পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ থেকে পশ্চিমে জম্মু ও কাশ্মীর পর্যন্ত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের উপর নজর রাখা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর। সেনা কর্মকর্তা আর কে পঞ্চানন্দ বলেন, ইসরোর জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন উপগ্রহ 'জিস্যাট-৬'র পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে সীমান্ত পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে আধাসামরিক বাহিনী। ২০১৫ সালে ইসরোর পাঠানো এই উপগ্রহটি গোটা দেশের উপর নজরদারি করে।   আইটিবিপি সূত্রে খবর, উপগ্রহের পাঠানো মোট তথ্যের ২৫ শতাংশ কন্ট্রোল করবে তাদের সেনাবাহিনী। যদিও এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফে এই প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিন্তু আইটিবিপি-র নিজস্ব ওয়েবসাইটে 'জিস্যাট-৬' সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন বে...

লোকদের ফিরিয়ে আনার মানে নাগরিকত্ব দেয়া নয়: মিয়ানমারের অভিবাসনমন্ত্রী

Image
মিয়ানমারের অভিবাসন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেইন সোয়ে বলেছেন, রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লোকদের ফিরিয়ে আনার অর্থ তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া নয়। মিয়ানমার সরকার রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেশটির নাগরিক বলে স্বীকার করে না। তারা রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালী’ বলে অভিহিত করে থাকে।  শুক্রবার মিয়ানমার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের এক বৈঠকে দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া ‘বাঙালীদের’ যখন আবারো গ্রহণ করা হবে তখন এর অর্থ হবে আমরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের গ্রহণ করছি। তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করছি না। ইলেভেনমিয়ানমার নামে একটি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রী থেইন সোয়ে বলেন, আমরা ‘বাঙালী’দেরকে গ্রহণ করছি যারা সহিংসতার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। এখানে তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে না। যারা মিয়ানমারে ফিরে আসতে চাইবে তাদের কাছে অবশ্যই ‘যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার কার্ড’ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিদিন প্রায় দেড়শো লোককে ‘চেক’ করার পরিকল্পনা করেছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে...