আরও শক্তিশালী ভারত, ফের যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমান

 

আরও শক্তিশালী ভারত, ফের যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমান
ফাইল ছবি

সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই ভারতের নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডার আরও শক্তিশালী হল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী পি-৮আই বিমান এল ভারতে। ২০০৯ সালেই সাবমেরিন বিধ্বংসী এই এয়ারক্রাফ্টের জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করেছিল ভারত। আটটি বিমান ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ন’নম্বরটি এসেছে বুধবার সকালে।

লাদাখ সীমান্ত থেকে পিছু হটতে রাজি নয় চীন। চুসুল সেক্টরে শেষ বৈঠকে দুই দেশই সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও, চীনের বাহিনীর হাবভাবে পিছিয়ে যাওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরেও অধিকার ফলাবার চেষ্টা করছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালানোর জন্য এমন অস্ত্রবাহী বিমানের প্রয়োজন ছিল তাদের। ডুবোজাহাজ গোপনে হানা দিলে তা রুখে দিতে পারবে পি-৮আই বিমান।

২০০৯ সালে আটটি পি-৮আই বিমানের জন্য চুক্তি হয়েছিল। পরে আরও চারটি বিমানের জন্য ২০১৬ সালে চুক্তি করে ভারত। ২০১৭ সালে ডোকলামে যখন চীন ও ভারতের বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল, সে সময়েও সমুদ্র সুরক্ষার জন্য পি-৮আই বিমান ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, পুরনো পি-৩ এয়ারক্রাফ্টের বদলে পি-৮আই বিমান বানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। বোয়িং পি-৮ পোসেইডন যাকে ‘মাল্টিমিশন মেরিটাইম এয়ারক্রাফ্ট’ বলা হয়। সমুদ্রে নজরদারি, একইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে এই বিমান। শত্রুপক্ষের জাহাজ বা ডুবোজাহাজ যদি হামলা করে তাহলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তা রুখে দিতে পারে পি-৮আই। 

এর শক্তিশালী রেডার বহুদূর থেকেই শত্রুপক্ষের জাহাজের গতিবিধি টের পায়। পানির নিচে গোপনে ধেয়ে আসা সাবমেরিনের অবস্থানও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে এই বিমানের রেডার। এই বিমানে রয়েছে ম্যাগনেটিক অ্যানোমালি ডিটেকশন। হাইড্রকার্বন সেন্সর রয়েছে যা বহুদূর থেকে জাহাজ ও ডুবোজাহাজের অবস্থান নির্দেশ করে। সূত্র : দ্য ওয়াল।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা