স্কুলে আরেক দফায় ছুটি বৃদ্ধির ইঙ্গিত
করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অত্যন্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া কোটির কিছু বেশি। বাকিরা শিক্ষার অন্যান্য স্তরে পড়ে। ইতিমধ্যেই তাদের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এখন নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওপরের শ্রেণিতে ওঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে কবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তার ওপর।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও আটকে আছে। এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু এখন কেউ জানে না কবে এই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সেশনজট বাড়ছে। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো পড়ছে আর্থিক সংকটে। যত দিন এই বন্ধ বাড়বে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিও তত বাড়বে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে স্কুলপর্যায়ে টিভি ও রেডিও’র মাধ্যমে ক্লাস প্রচার এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসে গুরুত্ব দেওয়া হলেও তা সেই অর্থে তা কার্যকর হয়নি।

Comments