তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, রংপুর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, রংপুর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
তিস্তা ব্যারেজে পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুর অঞ্চলের তিস্তা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বেড়েছে।তিস্তা সেচ প্রকল্প ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে নদীর পানি ৫২ দশমিক ৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র অবশ্য বলেছে, বছরের এই সময় এটি স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। উজানে ভারতে বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এই পানি প্রবাহ বৃদ্ধি।ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে রংপুরের তিন উপজেলা,লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলা,কড়িগ্রামের দুই উপজেলা তিস্তা চর অঞ্চল গুলোতে আগাম বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এদিকে তিস্তার পারের মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে ব্যারেজ পয়েন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো সমূহে রেড অ্যালার্ট জারি, নিশ্চিত করেছেন পাউবো, উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রসাদ ঘোষ।
শুক্রবার বিকেল ৪ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকা গুলোতে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে চরের কৃষকরা ভুট্টা নিয়ে বিপাকে আছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন,আমার ইউনিয়নের ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের লোক জন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের ছয়আনী গ্রামের আমিনুর মিয়া জানান, গড্ডিমারীর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পরেন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদি হাসান জানান, তিস্তা নদী তার প্রাকৃতিক নিয়মে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কিছু নিচু এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। বড় ধরনের নদী ভাঙ্গনের খবর আমরা পাইনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
ইত্তেফাক/এমআরএম

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা