ভারত-চীনের অ্যাপস ভিত্তিক প্রযুক্তি যুদ্ধ

ভারত-চীনের অ্যাপস ভিত্তিক প্রযুক্তি যুদ্ধ
ভারত-চীনের অ্যাপস ভিত্তিক প্রযুক্তি যুদ্ধ
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন দ্বন্দ্ব শুরু হবার পর থেকে গুগল প্লে স্টোরে চীনের বাইটড্যান্স টেক ফার্মের তৈরি টিকটক অ্যাপসের র‍্যাংক ৫ নম্বর থেকে সোজা ১০ নম্বরে চলে গেছে। বলা হচ্ছে, এই অ্যাপসটির প্রচুর ব্যবহারকারী ভারতের। আর সে কারণেই এমনটি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চায়না গ্লোবাল টাইমসের এক কলামে বলা হয়েছে, চীন বিরোধী চিন্তা-চেতনা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে এবং সে কারণেই চীনের এই অ্যাপসের বিরুদ্ধে অন্য অ্যাপসও তৈরি করা হচ্ছে দেশটিতে।
'রিমুভ চায়না অ্যাপ' এমন একটি স্লোগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভারতে। কিন্তু যেভাবেই বলা হোক না কেনো, চীনের তৈরি অ্যাপস ব্যবহার একেবারে বন্ধ করছে না ভারত। গত বছরে ভারতে সবচাইতে বেশি ডাউনলোড হওয়া ১০ অ্যাপসের মধ্যে ৫টি ছিলো চীনের তৈরি। ভারতের বুকে চীনের অ্যাপসগুলোর এই প্রভাব প্রমাণ করে চীন নিজেদের অ্যাপসের মাধ্যমে ফেসবুক, অ্যাপল এবং গুগলের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রদর্শনে কতটা তৎপর।
চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানি তাদের অ্যাপ স্টোর উন্নয়নের জন্য ভারতের সফটওয়্যার নির্মাতাদের সহায়তা নিচ্ছে। এই জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের গ্লোবাল ফান্ড গঠন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সঙ্গে হুয়াওয়ে মোবাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অ্যাপস তৈরির জন্য ভারতের ১৫০টির বেশি ফার্মের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি চীন। আর অ্যাপসের মার্কেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, চীন বিরোধী এই চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ভারতের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব অ্যাপস তৈরি করতে পারে।
বর্তমানে চীনের বেশ কিছু সোশ্যাল অ্যাপস বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে নিউজডক এবং ডেইল হান্টের মত কিছু অ্যাপস চীন বিরোধী বিভিন্ন পোস্ট মুছে দিচ্ছে বা তা ছড়িয়ে দেয়া রুখে দিচ্ছে। তাদের বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মত পরিবর্তনে এই অ্যাপসগুলো ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও ভারতের অধিকাংশ গেমিং অ্যাপসের সঙ্গে 'ট্যানসেন্ট' সম্পৃক্ত যার মাধ্যমে কিউকিউকয়েন ব্যবহার করা হয়। এই কয়েনের মাধ্যমে ভারত থেকে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। সম্প্রতি বেইজিং ভিত্তিং কুনলুন প্রতিষ্ঠানের ডেটিং অ্যাপস 'গ্রিন্ডার' ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
টিকটক ও জুম অ্যাপসের মাধ্যমেও চীনে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ তা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
একবার যদি হুয়াওয়ের অ্যাপ গ্যালারি জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়, তাহলে সরকার নিরাপত্তা হুমকির কথা বলেও চীনের এই সকল অ্যাপস ব্যবহার থেকে কাউকে রুখতে পারবে না।
চীনের মত ভারতে এভাবে অ্যাপস তৈরি ও ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যমান আইনের কারণে।
ইত্তেফাক/আরএ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা