স্বাধীনতা পদকে ভূষিত ভারতেশ্বরী হোমস

স্বাধীনতা পদকে ভূষিত ভারতেশ্বরী হোমস
ভারতেশ্বরী হোমসের স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তির ঘোষণার পর আনন্দে মেতে ওঠে কুমুদিনী কমপ্লেক্স। ছবি: ইত্তেফাক
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (রায় বাহাদুর) প্রতিষ্ঠিত নারী বান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমস জাতীয় পর্যায়ে এ বছর স্বাধীনতা পুরষ্কার পাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান, নারী শিক্ষা, নারী জাগরণ, নারী উন্নয়ন ও সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় এই পদক পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার কুমুদিনী পরিবারের অন্যতম সদস্য ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী ব্যক্তি মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দি এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ স্বাধীনতা পুরষ্কারের জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভারতেশ্বরী হোমসের নাম ঘোষণা করেছেন। এরপর থেকেই কুমুদিনী কমপ্লেক্সে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।
স্বাধীনতা পদকে ভূষিত ভারতেশ্বরী হোমস

ভারতেশ্বরী হোমসের সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষা পরিচালক মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, কুমুদিনী কমপ্লেক্স সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমদিনী ফার্মা, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজসহ নারীদের উন্নয়ন ও শিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের মধ্যে ভারতেশ্বরী হোমস অন্যতম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠাতা ও আমাদের জ্যাঠামুনি রণদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র কর্মক্ষম পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও এদেশের কিছু রাজাকার আল বদর বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। আজও তাদের কোন খোঁজ মিলেনি। অনেক চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে জ্যাঠামুনির উত্তরসূরি ও পৌত্র রাজিব প্রসাদ সাহা এবং তার মা শ্রী মতি সাহাসহ কুমুদিনী পরিবারের সকল সদস্যগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভারতেশ্বরী হোমসসহ প্রতিটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রেখেছেন। চিকিৎসা, সমাজ সেবা, নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৪ সালে কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেডকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছিলেন। একই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে ২০০২ সালে একুশে পদক প্রদান ও শ্রী মতি সাহাকে ২০০৫ সালে রোকেয়া পদকে ভূষিত করেন সরকার। ২০২০ সালের সালের জন্য ভারতেশ্বরী হোমসকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করায় বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কুমুদিনী পরিবারের সদস্যগণ।
উল্লেখ্য, ভারতেশ্বরী হোমস একটি ব্যতিক্রমধর্মী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপ মহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. এর প্রতিষ্ঠাতা মহান ব্যক্তি রণদা প্রসাদ সাহা (রায় বাহাদুর) লৌহজং নদীর কুলে বিশাল এলাকা নিয়ে ১৯৪৫ সালে ভারতেশ্বরী হোমস প্রতিষ্ঠা করেন। কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভেতরে সম্পূর্ণ আবাসিক এই নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ জন ছাত্রী নিয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন এর ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৮০০।
ইত্তেফাক/এসি

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা