ময়ূর নদের সীমানা জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ
- Get link
- X
- Other Apps

এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের তালিকাও এই সময়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
‘নদী দখল করে পার্কের স্থাপনা’ শিরোনামে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই প্রথম আলোতে ছবিসহ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, খুলনার ময়ূর নদ দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে লিনিয়ার পার্কের স্থাপনা। নগরের গল্লামারীতে নির্মাণাধীন পার্কটির জন্য নদীর পাঁচটি স্থানে স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে (এইচআরপিবি) ওই বছরের ১৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করা হয়। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে ময়ূর নদে স্থাপনা নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, একই সঙ্গে কমিটি গঠন করে ময়ূর নদের সংশ্লিষ্ট এলাকা (লিনিয়া পার্ক) জরিপ করে প্রতিবেদন (দখল, মাটি ভরাট ও নির্মাণকাজের বিবরনসহ) দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ওই সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে জানিয়ে খুলনা সিটি করপোরেশন আদালতে প্রতিবেদন দেয়। তবে পরিদর্শন করে ময়ূর নদের সীমানায় আরও অবৈধ স্থাপনা আছে জানিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে এইচআরপিবি গতকাল রোববার সম্পূরক ওই আবেদনটি করে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম এ গাফফার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল।
আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, নদের জায়গায় লিনিয়ার পার্ক সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে সরেজমিনে ময়ূর নদ এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে আরও অবৈধ স্থাপনা রয়েছ। যে কারণে নদটি সিএস রেকর্ড অনুসারে জরিপের নির্দেশনা চেয়ে ওই আবেদনটি করা হয়। হাইকোর্ট আগামী ৬ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments