ইরানের পরমাণু ইস্যুতে ট্রাম্পের পাশে থাকবেন জনসন/১৪ জানুয়ারি, ২০২০

ইরানের পরমাণু ইস্যুতে ট্রাম্পের পাশে থাকবেন জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (বামে) এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে)। ছবি-সংগৃহীত
ইরানের পারমানবিক অস্ত্র অর্জন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু সীমাবদ্ধকরণ চুক্তিতে ফিরে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ট্রাম্প কোন নতুন চুক্তিতে আসতে চাইলে সেটাতেও সমর্থন জানানোর কথা জানান জনসন। নির্বাচনের জেতার পর এই প্রথম একান্ত সাক্ষাৎকারে বিবিসির সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন জনসন।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় দেশের করা চুক্তিকে এখনও সমর্থন করেন। তবে বর্তমান চুক্তির পরিবর্তে ট্রাম্প যদি নতুন কোন চুক্তিতে আসতে চান তাতেও তিনি সমর্থন করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকান বন্ধুদের প্রতি আমার আহ্বান যেকোনো মূল্যে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান চুক্তি থেকে যদি আমরা সরে আসি তাহলে এর পরিবর্তে নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।’
‘নতুন চুক্তি’ বলতে জনসন ট্রাম্পের চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। ২০১৫ সালের চুক্তিকে সর্বকালের সবচেয়ে বাজে চুক্তি উল্লেখ করে ২০১৮ সালে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। তাই জনসন পূর্বের চুক্তির পরিবর্তে ট্রাম্প যেভাবে চান সেরকম চুক্তিতে পৌঁছার উপর জোর দিয়েছেন।
ইরানকে পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত রাখতে ২০১৫ সালে ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অ্যাকশন’ নামের একটি চুক্তিতে পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন। এই চুক্তির শর্ত ছিলো ইরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ থেকে সরে আসবে বিনিময়ে ইরানের উপর আরোপিত সকল অবরোধ তুলে নেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তবে বাকি দেশগুলো ওই চুক্তি টিকিয়ে রাখার পক্ষে ছিলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও বর্তমান ‍চুক্তির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইত্তেফাক/এসইউ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা