‘কাউকে তাড়াতে হলে প্রথমে আমাকে তাড়াতে হবে’

দার্জিলিংয়ে মমতার সিএএবিরোধী প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: সংগৃহীতদার্জিলিংয়ে মমতার সিএএবিরোধী প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: সংগৃহীতপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘যদি কাউকে তাড়াতে হয়, তবে প্রথমে আমাকে তাড়াতে হবে। আমি যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ এই পাহাড়ের কোনো মানুষের গায়ে হাত দিতে পারবে না। সবাইকে নিয়ে লড়ব। প্রয়োজনে আত্মবলিদান দেব। কিন্তু এই পাহাড় থেকে কাউকে তাড়াতে দেব না।’
গতকাল বুধবার ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে দার্জিলিং যান মমতা। সেখানে তিনি ভানুভক্ত ভবন থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। ৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে তিনি পৌঁছান দার্জিলিংয়ের চকবাজারে। এই প্রথম দার্জিলিংয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন মমতা।
মিছিল শেষে চকবাজারে তৃণমূল আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দিয়ে মমতা বলেন, ‘এই পাহাড়ের মানুষও চাইছে না, মানছে না সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর। তারা চাইছে, এসব আইন বাতিল হোক। তাই আমি বলতে চাই, এই পাহাড়ের একজন গোর্খাকেও দেশ থেকে বিতাড়িত করতে দেব না। যদি কাউকে তাড়াতে হয় তবে প্রথমে আমাকে তাড়াতে হবে। আমি যতক্ষণ আছি ততক্ষণ এই পাহাড়ের কোনো মানুষের গায়ে হাত দিতে পারবে না। সবাইকে নিয়ে লড়ব। প্রয়োজনে আত্মবলিদান দেব। কিন্তু এই পাহাড় থেকে কাউকে তাড়াতে দেব না।’
মমতা বলেন, ‘আমি বিজেপির মতো কেবল ভোটের সময় গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে ভোট চাইতে পাহাড়ে আসি না। আবার ভোট নিয়ে জেতার পর পালিয়েও যাই না আমি। সব সময়ই আমি আপনাদের পাশে থাকি। ছিলাম এবং থাকব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পেছন দিক থেকে নয়, সামনের দিক থেকে লড়াই করে, মার খেয়ে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। তাই আমি লড়াইকে ভয় পাই না। আর বিজেপি তো সামনে থেকে লড়াই না করে পেছনের দিক থেকে লড়াই করছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও একসময়ের মমতার ডানহাত ও দলের দ্বিতীয় নেতা মুকুল রায় গতকাল বিকেলে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে বলেছেন, আসছে ২০২১ সালে এই বাংলার মানুষই তাড়াবে মমতাকে। চিন্তা করবেন না। তাই মমতার প্রলাপ বকে লাভ নেই। বাংলায় সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর হবেই।
মুকুল রায় বলেন, ‘এই বাংলায় পাহাড়ের ছোট ছোট জনজাতিকে ভাগ করে ছোট ছোট কমিটি গড়ে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা। অথচ ২০১৭ সালে এই পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৭ জন গোর্খা আন্দোলনকারী মারা গিয়েছিলেন। তখন তো তিনিই ছিলেন এই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে। এখন তিনি সেসব ভুলে পাহাড়বাসীকে সোহাগ করছেন। কাজ হবে না। একুশেই এই বাংলার মানুষই বিদায় করে দেবে আপনাকে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী যতই আন্দোলন করুন না কেন, এই রাজ্যে সিএএ কার্যকর করা হবেই। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবেই।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা