এক যুগ পর আবার পাকিস্তান

এক যুগ পর আবার পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত
লম্বা সময় ধরে নেটে ব্যাট করলেন। ভেতরে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে এসে আবার কিছু সময় ঘাম ঝরালেন। ঘামতে ঘামতেই বেরিয়ে আসছিলেন মাঠের বাইরে।
এগিয়ে যেতে হাসি মুখে বললেন, ‘আজ কোনো কথা নয়।’
তারপরও পাকিস্তান সফরের কথা মনে করিয়ে দিতেই একটু হাসলেন। বললেন, ‘মনে আছে সব। আরেক দিন বলব। ঐ সফর কী ভোলা যায়?’
নাহ, ভোলা যায় না। সেটা একটা বাজে সময় ছিল বাংলাদেশের। ২০০৮ সালের কথা। সে বছর পাকিস্তানের মাটিতে ১০টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে একমাত্র আরব আমিরাতের বিপক্ষে একটা ম্যাচে জয় পেয়েছিল সেই বাংলাদেশ দল। ফলে স্মৃতিটা ভুলে যাওয়ারই কথা। কিন্তু ঠিক এক যুগ পর আরেকবার বাংলাদেশ যখন পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে, ফিরে ফিরে আসছে সেই স্মৃতি।
বাংলাদেশ প্রথম পাকিস্তান সফর করেছিল ২০০১ সালে। সে বছর একটি মাত্র টেস্ট খেলেছিল তারা স্বাগতিকদের বিপক্ষে। এরপর ২০০৩ সালে নিজেদের ইতিহাসের দীর্ঘতম সফর করে বাংলাদেশ পাকিস্তানেই। সেই সফরে ৩টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে আবার ৫টি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান যায় মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। আবার জুন-জুলাইতে পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ।
এরপর গত ১২ বছরে আর এই দেশ সফরে যায়নি বাংলাদেশ। আসলে পরের এক দশকেরও বেশি সময় পাকিস্তান ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্যই এক ‘নিষিদ্ধভূমি’। ২০০৯ সালেই লাহোরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওপর ঘটে এক সন্ত্রাসী হামলা। আর এরপর থেকে এই দেশটিতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একরকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই ছিল না।
গত বছর দুয়েকে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও বিশ্ব একাদশ এখানে কিছু সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছে। অবশেষে শ্রীলঙ্কা দলেরই টেস্ট সফরের ভেতর দিয়ে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। তবে বাংলাদেশের হতে যাওয়া সফরটি আরো তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, এর মধ্যে বহুবার সফর করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সে সফর করেনি। অবশেষে দুয়ার খুলছে পাকিস্তানের।
আর এই সুযোগে সর্বশেষ এই দেশটিতে খেলার অভিজ্ঞতা মনে পড়ে যাওয়ার কথা তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। পাকিস্তানে সর্বশেষ যে বাংলাদেশ দল সফর করেছিল, সেই দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার এখনো সক্রিয় আছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমও ছিলেন সেই ২০০৮ সালের দলে। কিন্তু তারা নানা কারণেই এখন টি-টোয়েন্টি সফরে যাওয়া দলে নেই।
মাশরাফি এখন টি-টোয়েন্টি খেলেন না। সাকিব এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ। আর মুশফিক এই পাকিস্তানে সব কটি সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে বর্তমান দলে পাকিস্তানে আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল তামিম আর অধিনায়ক রিয়াদের।
রিয়াদের অভিজ্ঞতাটা ভালো নয়। ২০০৮ সালে সেই ১০টি ওয়ানডে বা একটি টি-টোয়েন্টির কোথাও বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স ছিল না তার। তবে তামিম চাইলে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। কারণ, সে বছর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুটো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছিল এই বাহাতি ওপেনারের।
ইত্তেফাক/আরকেজি

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা