যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকার রমরমা ব্যবসা ইরানে

পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত কারখানার কর্মীরা। ছবি-রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের বৈরিতা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে ইরানে পশ্চিমা বিরোধী মিছিলে প্রতিনিয়তই এসব দেশের পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটছে। এতে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্যের পতাকা বানায় এমন কারখানাগুলোর ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে ইরানে।
গত এক দশক ধরেই ইরানে যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের পতাকার বেশ চাহিদা। তবে দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বেড়ে গেলে চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। কেননা এসময় দেশগুলোর বিরুদ্ধে মিছিলে অংশ নেওয়া ইরানিদের পছন্দের কাজ পতাকা পোড়ানে। এই ফাকে রমরমা ব্যবসা করে নিচ্ছে পতাকা তৈরির কারখানাগুলো।
রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খোমেন শহরে পতাকা তৈরির একটি কারখানায় বর্তমানে প্রতিমাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ২ হাজার পতাকা তৈরি হচ্ছে। ওই কারখানাটি প্রতি বছর ১৫ লাখ বর্গফুটেরও বেশি পতাকা বানায়।
সম্প্রতি কাসেম সোলাইমানি মার্কিন হামলায় নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। চাহিদা অনুযায়ী পতাকা যোগান দিতে হিমসিম খেতে হয় কারখানাগুলোকে।
পতাকা পোড়ানোর ব্যাপারে কাসেম ঘানজানি রয়টার্সকে জানান, বিভিন্ন সমাবেশে লোকজন এই দেশগুলোর পতাকা পোড়ায় শুধু তাদের প্রতিবাদ দেখানোর জন্য। দেশগুলোর জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সমস্যা নেই। তাদের সমস্যা দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে। তাদের ভুল নীতিধারী প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে।
ইত্তেফাক/এসইউ
Comments