স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই দৃশ্যমান

জাজিরা প্রান্ত থেকে তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর। ড্রোন ক্যামেরায় তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটারের একটা স্বপ্ন। একটু একটু করে যাচ্ছে সামনের দিকে। দেখতে দেখতে এখন মাঝ বরাবর চলে এসেছে। দিন যত গড়াচ্ছে স্বপ্নটাও তত বাস্তব হয়ে উঠছে। আর কয়েক মাস অপেক্ষা। তারপর পুরোপুরি ডানা মেলবে এই স্বপ্ন। উল্লাস আর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে গোটা জাতি। দূরত্ব কমে যাবে এক অঞ্চলের সঙ্গে আরেক অঞ্চলের। অর্থনীতির চাকা ঘুরবে দ্রুত বেগে। বাড়বে জীবনযাত্রার মান। এই স্বপ্নের নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’। পদ্মার বুক চিরে যার একপ্রান্ত ছুঁয়ে থাকবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া। অন্যপ্রান্ত শরীয়তপুরের জাজিরা।

সেতুর রেলপথে বসবে মোট দুই হাজার ৯৫৯টি স্ল্যাব। যার সবগুলো এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জাজিরা প্রান্তে বসানো হয়েছে ৪৯৫টি। এই স্ল্যাবের ওপর বসবে রেলের পাটাতন ও রেললাইন। অপর দিকে সেতুর ওপরে সড়কভাগে স্ল্যাব বসবে মোট দুই হাজার ৯১৭টি। এর মধ্যে দুই হাজার ১১৭টি স্ল্যাব প্রস্তুত হয়ে গেছে। বাকি ৮০০ স্ল্যাব তৈরির কাজ চলছে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জাজিরা প্রান্তে সড়কপথের স্ল্যাব বসেছে ১৮৭টি। কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রথম দিকে এসব স্ল্যাব বসাতে একটু সময় লাগলেও এখন প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাতটি স্ল্যাব বসানো যাচ্ছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, খুব শিগগির একসঙ্গে চারটি টিম স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু করবে। তখন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩২টি স্ল্যাব বসানো যাবে। এতে করে কাজের গতি বেড়ে যাবে। প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সড়ক অংশের কাজ পুরোপুরি শেষ করে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত এটি হচ্ছে কাজ শেষ করার সময়সীমা। তবে প্রকল্পের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, যদি কিছুটা সময় বেশি লাগে তাহলে তারা সেটা ব্যয় করবেন। কোনোভাবেই কাজের মানের প্রশ্নে আপস করবেন না। কারণ এটি হচ্ছে একটি স্থায়ী অবকাঠামো। হেলাফেলা বা তাড়াহুড়ো করা যাবে না।

Comments