স্বীকৃতি পাচ্ছে মশা ধ্বংসে ছত্রাক আবিষ্কার

এডিস মশা। ফাইল ছবি।
বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিভিন্ন দুর্ঘটনা যে পরিমাণে মানুষ মারা যায় তার থেকে বেশি মানুষ মারা যায় মশার কারণে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য হচ্ছে গত বছর মশার কারণে মারা গেছে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ। এর আগে মশার কারণে বার্ষিক গড় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। আর সে কারণেই বিশেষ জিনেটিক কোডিংয়ের মাধ্যমে ছত্রাক তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও বুরকিনা ফাসোর একদল গবেষক।
সম্প্রতি সময়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশে সবচাইতে বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো তৈরি হয়েছে মশার কারণে। জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা চিকুনগুনিয়াসহ এমন অনেক রোগের বাহক মশা। আর সে কারণেই মশা ধ্বংসে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
‘সাইন্স’ জার্নালে গত বছর মে মাসে মশা নিধনে ছত্রাকের ব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখানো হয় কিভাবে জেনেটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তৈরি ছত্রাক থেকে মশার দেহের জন্য ক্ষতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি গ্রামে মশার প্রজনন হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।
আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দ্য এডভান্স অব সাইন্স (এএএএস)-এর বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ জানায়, নিউকম্ব ক্লিভল্যান্ড পুরস্কার পেতে যাচ্ছে এই গবেষণা। সেখানে বলা হয়, প্রতি ২ মিনিটে একজন শিশু ম্যালেরিয়ায় মারা যায়।
শুধুমাত্র ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ২২ কোটি ৮০ লাখের বেশি, যার মধ্য থেকে প্রায় ৪ লাখ মানুষ মারা যায়।
অবশ্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে ২০১০ সালের পর থেকে মশার কারণে মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৮ ভাগ। আশা করা হচ্ছে এ ধরণের গবেষণা কার্যক্রমের কারণে মশার বংশবিস্তার হ্রাস করা সম্ভব হবে। স্কাই নিউজ।
ইত্তেফাক/আরএ
Comments