বৃষ্টি হতে পারে আজও
- Get link
- X
- Other Apps

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আজও রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল যেসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল, সেসব এলাকায় তা আরও বিস্তৃত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল যশোরে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, ৫ মিলিমিটার। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ১ মিলিমিটার; ঢাকা, ফরিদপুর, মোংলা ও চুয়াডাঙ্গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে।
আজ দেশের বেশির ভাগ স্থানে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। রাতে শীত একটু বেশি অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাল শনিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
বৃষ্টি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশার চাদর সরে যেতে শুরু করেছে। রোদের দেখা পাওয়ায় দেশের বেশির ভাগ স্থানে গতকাল দিনের তাপমাত্রা খানিকটা বেড়েছে। রাজধানীতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছিল, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। ফলে সকালে হিম হিম শীত, আর দিনে কিছুটা উষ্ণতার পরশ পায় রাজধানীবাসী। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অবশ্য সব জায়গায় সমান হয়নি। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এলাকার মানুষ বৃষ্টির ছটা কিছুটা বেশি পেয়েছে। বেশির ভাগ স্থানে সকাল ও বিকেলের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল।
বৃষ্টি সামান্য হলেও যারা এর কবলে পড়েছে, তারা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছে। শীতের এই দাপটের মধ্যে বৃষ্টিতে মানুষের কষ্ট ও বিড়ম্বনা দুই–ই বেড়ে যায়। গতকাল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল দুই দিনের মতোই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পঞ্চগড়সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষকে প্রচণ্ড শীত কাবু করে ফেলে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্টে পড়েন সবচেয়ে বেশি।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments