চীন-রাশিয়ার মধ্যে সাড়ে ২৯ কোটি ডলারে সংযোগ সেতু

১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্য এই সেতুর তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি: সংগৃহীত১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্য এই সেতুর তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি: সংগৃহীতচীন ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী প্রথম সড়কসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এ সেতুর ফলে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে তৈরি হলো ইতিহাস।
সেতুটি রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে।
রাশিয়া জানিয়েছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য এই সেতুকে খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা দেশটির।
এই সেতু তৈরিতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)। ছবি: সংগৃহীতএই সেতু তৈরিতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)। ছবি: সংগৃহীতএর আগে রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, এই সেতু তৈরির জন্য ১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৫ সালে চীন ও রাশিয়া একটি চুক্তি করে। এরপর ২০১৬ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু তৈরিতে ব্যয় হয় সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)। হেইলংজিয়াং নদীর ওপর তৈরি হওয়া ১০৮০ মিটার দৈর্ঘ্যর এ সেতু চীনে ৫৪০ মিটার ও রাশিয়ায় ৫৪০ মিটার পড়েছে। দুই দেশের দুটি শহরকে সংযোগ করে—এমন সর্বশেষ নেওয়া পরিকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হচ্ছে ওই সেতু। আমুর নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সঙ্গে আরও ২০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছে একটি রুশ এবং চীনা কোম্পানি।
আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি ওর্লোভ বলেন, ‘আমরা একটি নতুন আন্তর্জাতিক পরিবহন করিডর তৈরি করছি। এটি আমাদের সম্ভাব্য ট্রানজিটে পৌঁছতে সাহায্য করবে।’

ডাচ্‌ স্থাপত্যবিদদের নকশায় সীমান্ত অতিক্রমকারী ‘কেবল কার’ ইউএনস্টুডিও (তারের ওপর ভর করে চলা গাড়ি) ২০২০ সালে হেইহি ও ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে চালু হবে। এই কেবল কারে চড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট সময় লাগবে।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা