মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে জাপান
- Get link
- X
- Other Apps

চলতি বছরের প্রথম দিকে উপসাগরে জাপানি ট্যাংকারসহ বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্যাংকার এবং সৌদি আরবের তেলের স্থাপনায় হামলার পর জাপান সরকার এ পদক্ষেপ নিল।
উপসাগরে একের পর এক হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও সৌদি আরব। তবে তেহরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
টোকিওতে গতকাল সাংবাদিকদের জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য ওই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) একটি যুদ্ধজাহাজ ও দুটি পি৩সি নামের টহল উড়োজাহাজ পাঠাবে জাপান।
জাপান সরকার নিজেদের চাহিদার ৯০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করে। তাই তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর নিরাপত্তা দিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সরকার। সুগা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন এবং জাপানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নৌযানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাপান সরকার নিজেদের মতো করে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি ট্যাংকারে হামলা হয়। এরপর নৌ চলাচলের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালির কাছে ট্যাংকারে হামলা ও জব্দ করার ঘটনা ঘটে। সেই থেকেই বিষয়টি নিয়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তেল সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা নৌযানগুলোর নিরাপত্তা দিতে একটি নৌ জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। ওই জোটে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। দেশ দুটি বাণিজ্যিক জাহাজগুলো পাহারা দিয়ে নিয়ে যেতে উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতেও রাজি হয়েছে। তবে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ওই জোটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে জাপান যুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালিতে নিয়োজিত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধজাহাজ ও অন্যান্য কার্যক্রম। তবে সেখানে যুক্ত হবে না জাপানের এই টহল কার্যক্রম। তিনি আরও বলেন, উপসাগরের ওমান অংশে, আরব সাগরের উত্তরাংশে এবং উপসাগরের এডেন এলাকার গভীর সাগরে নিয়োজিত থাকবে আত্মপ্রতিরক্ষা বাহিনী (এসডিএফস)।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments