পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে জার্মানি

রয়টার্স ফাইল ছবি।রয়টার্স ফাইল ছবি।২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর জার্মানির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা দেখা দেয়। সেই শঙ্কা থেকেই পর্যায়ক্রমে সব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দেশটিতে সচল রয়েছে সাতটি কেন্দ্র। এগুলো ২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করা হবে। তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধ্বংসের পর সেগুলোর উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে দেশটি। এ রকম স্থানও খুঁজে পাচ্ছে জার্মান সরকার।
এই বর্জ্য রাখার ‘স্থায়ী ভাগাড়’ খুঁজে বের করতে জার্মান সরকারের হাতে সময় আছে ২০৩১ সাল পর্যন্ত। উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্য জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের পরিবেশ ও জলবায়ু নীতির চেয়ারপারসন মিরান্ডা শ্রয়াস। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধ্বংসের ফলে ২৮ হাজার কিউবিক মিটারের বেশি বর্জ্য তৈরি হবে, যা যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিগ বেন ক্লক টাওয়ারের মতো ছয়টি স্থাপনার সমান। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এই বিপুল বর্জ্য কোথায় নিরাপদে ব্যবস্থাপনা করা হবে, তা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে জার্মানি।
জার্মানির অর্থনীতি ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পুঁতে রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজে বের করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
২০২২ সালের মধ্যে বন্ধ করা হবে অবশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো
তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ
বর্তমানে সচল থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্যগুলো পাশেই তৈরি করা সাময়িক স্থাপনাগুলোয় সংগ্রহ করা হয়। এই বিষয়ে মিরান্ডা শ্রয়াস বলেন, ‘আপনি যদি পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি পরিবহন রডের সঙ্গে থাকা একটি ক্যানিস্টার খোলেন, তাহলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে, না হয়ে একটু পরেই মারা পড়বেন। কারণ, রডগুলো খুবই গরম থাকে। তাই এগুলো আগে ঠান্ডা করতে হবে। রডগুলো ঠান্ডা করতে দশকের পর দশক লেগে যাবে।’
শ্রয়াস বলেন, রডগুলো ঠান্ডা করার জন্য জার্মানিতে কিছু অস্থায়ী জায়গা খুঁজে পাওয়া গেছে। সেগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। বর্জ্যগুলো যাতে লাখ লাখ বছর নিরাপদে রাখা যায়, সে জন্য কমপক্ষে এক কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বর্জ্যভান্ডার গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ রকম ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন ভৌগোলিকভাবে খুবই স্থিতিশীল স্থান। সেখানে কোনো ভূমিকম্প হবে না। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকবে না। ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে, এমন স্থানও নির্বাচন করা যাবে না।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা