ট্রাম্পের বৈঠকের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন কিম

ছবি-সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা নতুন করে আর কোনো আলোচনায় আগ্রহী না। শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে ‘অপমানের’ প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘পাগলা কুকুর’ হিসেবে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে সব পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের কথা বললে পিয়ংইয়ং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সব আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি করে।
দুই পক্ষ পারস্পরিক সম্মতিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ভেস্তে যায় আলোচনা। হ্যানয়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর গত ৩০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে কার্যকরী পর্যায়ে আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে সম্মত হন কিম। তবে এখনো সেই আলোচনা শুরু হয়নি। এরই মধ্যে আগামী ডিসেম্বরে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু উত্তর কোরিয়া সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উত্তর কোরীয় মুখপাত্র কিম মিয়ং গিল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বিষয়ক মধ্যস্থতাকারী স্টিফেন বিগান তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবারও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগে গত মাসে সুইডেনের রাজধানীতে কিম ও বিগান বৈঠকও করেছিলেন। তবে বৈঠকের ব্যাপারে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কিম মিয়ং বলেন, যদি সমঝোতার সমাধানগুলো সম্ভব হয় তাহলেই শুধু আলোচনা সম্ভব।
এদিকে ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ‘ঠান্ডা করা দরকার’ বলেও মন্তব্য করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম (কেসিএনএ)। তবে বাইডেনের কোনো কথায় উত্তরের শীর্ষ নেতা অপমানিত হয়েছেন, কেসিএনএ তা উল্লেখ করেনি।
কেসিএনএ বলেছে, এই ডেমোক্র্যাট এ নেতা ‘উন্মত্ততার চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছেন, তার ‘দেহত্যাগের সময় এসে গেছে’। উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার (ডিপিআরকে) সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে বলেছে কেসিএনএ মন্তব্য করে, ডিপিআরকের সর্বোচ্চ নেতার মর্যাদাকে কুিসতভাবে অপমান করার দুঃসাহস দেখিয়েছে এই লোক। মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা পাগলা কুকুরের এটাই শেষ চেষ্টা।’
উল্লেখ্য, বাইডেন অনেক দিন ধরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোরীয় নীতির কঠোর সমালোচক। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি ‘খুনি স্বৈরশাসককে’ প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করে আসছেন তিনি।
ইত্তেফাক/এসআর
Comments