সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

ছবি: ইত্তেফাক
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতিকালে ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৪ জন নারী রয়েছে। এ সব নারীরা বিয়ের প্রলোভন ও চাকরির আশায় মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে আটক রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন।
আটক রোহিঙ্গারা হলো- উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রাফিউল কাদের, ইলিয়াস রিয়াজ, মো. আইয়ুব, আমির হাকিম, মো. ইলিয়াস, ইব্রাহিম, জানে আলম, আরেছা বিবি, তসলিমা, হারিদুর ইয়াসমিনা, জাহেরা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া এলাকা দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাবার আশায় জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ৪ নারীসহ ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
পরিদর্শক আনোয়ার জানান, আটক রোহিঙ্গারা মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করছিল। মানব পাচারকারী চক্রটি পুনরায় সক্রিয় হয়ে রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে পাচার সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। এ সব পাচারকারী চক্রকে চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে। আটক রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা তসলিমা জানান, আমাদের কিছু স্বজন মালয়েশিয়ায় রয়েছে। মোবাইলে এদের একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মালয়েশিয়া পৌঁছাতে পারলে আমাকে বিয়ে করার কথা দিয়েছে। তাই অন্যদের সাথে আমিও মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে, উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান। এ সব রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারচক্র। আর দালালের খপ্পরে পড়ে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিপদে পড়ছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে আবারো দালাল চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই চক্রকে গ্রেপ্তার ও প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ইত্তেফাক/বিএএফ
Comments