ছুটির দিনে সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের ভিড়
- Get link
- X
- Other Apps

সীতাকুণ্ড বাজার কমিটি ও ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধাম, ইকোপার্ক, গুলিয়াখালী সৈকত, ইকোপার্কের সহস্রধারা ঝরনা ও সুপ্তধারার ঝরনা এলাকায় অন্তত তিন হাজার মানুষ গতকাল বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাঁশবাড়িয়া সৈকত, কুমিরা ঘাট, ভাটিয়ারী লেক ও সানসেট এলাকাও পর্যটকের পদচারণে মুখরিত ছিল।
গতকাল বিকেলে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, ম্যানগ্রোভ বনের ভেতর দিয়ে জমে থাকা জোয়ারের পানি ডিঙিয়ে সৈকতে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। নয়নাভিরাম এই সৈকতে সাগরে নেমে কয়েকজন তরুণের মৃত্যু হলেও সেখানে ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকেরা ছুটে যাচ্ছেন।
সেখানে কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রণব চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই দিনের ভ্রমণে তাঁরা ১০ সহপাঠী সীতাকুণ্ডে আসেন। ওঠেন পৌর সদরের একটি হোটেলে। সকালে তিনি দুই হাজার ফুট ওপরে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা চন্দ্রনাথ মন্দিরে উঠেছেন। সন্ধ্যায় গুলিয়াখালী সৈকতে ঘুরতে এসেছেন।
সীতাকুণ্ড বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সীতাকুণ্ডে এক হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হয়। আজ (গতকাল শুক্রবার) এর তিন গুণ বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে।
সীতাকুণ্ড ইকোপার্কেই রয়েছে দুটি ঝরনা, যার একটি সহস্রধারা ও অন্যটি সুপ্তধারা। এই দুই ঝরনা দেখতে ভিড় করছেন পর্যটকেরা।
পার্কটির ইজারাদারদের মধ্যে অন্যতম শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল তাঁরা ১ হাজার ২০০টির মতো টিকিট বিক্রি করেছেন।
সীতাকুণ্ডে সৌদিয়া আবাসিক হোটেলের মালিক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বর্ষা মৌসুমে হোটেলে চাপ বেশি থাকে। গতকাল হোটেলের কোনো কক্ষ খালি ছিল না তাঁদের।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের নিরাপত্তায় তেমন শঙ্কা নেই। তবে পুলিশকে না জানিয়ে রাতে ও ভোরে দুর্গম এলাকাগুলোতে ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments