নিজের ঘাঁটিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি, শিবসেনার ৫০-৫০ দাবি

ছবি: সংগৃহীত
নিজেদের শক্তিশালী ঘাঁটি বলে পরিচিত হরিয়ানাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আরেক শক্তিশালী ঘাঁটি মহারাষ্ট্রেও দলটির জনপ্রিয়তা পড়তির মুখে। কিন্তু প্রধান শরিকদল শিবসেনার বদৌলতে এবারের মত ঘাঁটিটি হারাতে হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলকে। এই সুযোগে ক্ষমতার সমবন্টনের দাবি জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
বৃহস্পতিবার হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। নির্বাচনের ফলে দেখা গেছে, হরিয়ানা রাজ্যে ৪০ আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু ৯০ আসনের হরিয়ানা রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ৪৬ আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ৩১ টি আসন। হরিয়ানাতে এবার নির্ণায়কের ভূমিকা নিতে পারে শিখ নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপি। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের সাথে হাত মেলাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জেজেপি প্রধান। দুষ্মন্ত চৌটালা বলেছেন, 'ফলাফল যেমন দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিষ্কার, মানুষ পরিবর্তন চাইছে।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'সরকার গঠনের চাবি থাকবে জেজেপির হাতে।'
কংগ্রেস নেতা দীপন্দর হুদা বলেন, 'দুষ্মন্ত চৌটালাকে আমাদের সঙ্গে আসতে বলব। বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলতে তাদের প্রত্যেকটি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সমর্থনের জন্য নির্দল বিধায়কদের চাপ দিচ্ছে বিজেপি এবং জানান, যদি এটা চলতে থাকে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তিনি।'
মহারাষ্ট্রে, ২৮৮ আসনের মধ্যে, ১৫০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী শিবসেনা। তবে তা তাদের প্রত্যাশিত ২৫০-এর নিচে। প্রত্যাশার থেকে কম পেতে চলেছে বিজেপি। নিজেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার প্রত্যাশা করলেও বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ১০০টি আসনে। ২০১৪ নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ১২২ আসন। ৬০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শিবসেনা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। কংগ্রেস এবং তাদের জোটসঙ্গী এনসিপি জয়লাভ করেছে ৯৭টি আসনে। ভাল ফলের পূর্বাভাস পেয়েই সরকার গঠনের ৫০-৫০ চুক্তি কার্যকর করার ইঙ্গিত দিয়েছে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উদ্ধব ঠাকরে জানান, ৫০-৫০ চুক্তি কার্যকর করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, 'বিজেপির অনুরোধ করার থেকেও কম আসনে লড়েছে শিবসেনা, আমরা সবসময়েই এত মেনে নিতে পারব না।'
শিবসেনাসূত্রে জানা গেছে, ৫ বছরের সরকার ভাগ করার প্রস্তাব দিতে পারে তারা। এক্ষেত্রে বিজেপির কাছ থেকে আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি করতে পারে তারা।
লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর বিধানসভা নির্বাচনে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধির ইস্তফার পর থেকে নেতৃত্ব সঙ্কট বিরাজ করছে দলটিতে। অন্যদিকে, একঝাঁক ঝানু নেতাকে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি।সাতটি মাত্র সভা করেছেন রাহুল গান্ধি। একটি মাত্র সভা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।
ইত্তেফাক/এসএইচএম
Comments