সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিহত ১০

নৌকাডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ ও এলাকাবাসীর অভিযান। ছবি: ইত্তেফাক
সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়াকুঠা হাওরে নৌকা ডুবিতে ১০ নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় রফিনগরের ইউনিয়নের মাছিমপুর থেকে নৌকায় করে চরনার চর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় কালিয়াকুঠা হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় নৌকাটি।
মৃতরা হলেন, মাছিমপুরের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া, বদরুল মিয়ার ছেলে আবির মিয়া, নোয়ারচরের আফজাল মিয়ার ছেলে আসাদ, পেরুয়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে শহীদুল মিয়া, মাছিমপুরের জমশেদ আলীর মেয়ে শান্তা, আরজ আলীর মেয়ে তাসলিমা এবং আফজাল মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া। এছাড়া মাছিমপুরের আরজ আলীর স্ত্রী রুহিতুনন্নেছা, একই এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী আজিজুন্নেসা এবং পেরুয়ার নজিব উল্লার স্ত্রী করিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পেরুয়া গ্রামে ফিরোজ আলীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। মূলত সেখানে যাওয়ার জন্য এক দিন আগে রওনা হয় মাছিমপুরে থাকা ফিরোজ আলী স্বজনরা। সেখানে যাওয়ার পথে কালিয়াকুঠা হাওরে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় এ সময় ৩১ জন যাত্রী ছিলেন।
রফিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. কুটি মিয়া জানান, তার গ্রামের পাশেই ঘটনা ঘটেছে। তারা নৌকাডুবির পরপর মানুষের চিৎকার শুনে কয়েকটি ছোট নৌকা নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু তখন ঝড়-বৃষ্টি থাকায় ঠিকমতো উদ্ধার কাজ চালাতে পারেননি। রাত ১০টা পর্যন্ত হাওর থেকে চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে আবার গ্রামবাসী হাওরে গিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালান। পরে আরও ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
রফিনগর ইউপির চেয়ারম্যান রেজওয়ান খান বলেন, 'নৌকায় মোট ৩১ জন যাত্রী ছিলেন। নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও ১০ জন নিখোঁজ হন। এই ১০ জনের মধ্যে সবারই লাশ উদ্ধার হয়েছে। মাছিরপুর থেকে প্রতিদিনই নৌকায় করে যাত্রীরা পেরুয়া এলাকায় যান। গতকালও একইভাবে যাত্রী নিয়ে নৌকাটি রওনা হয়। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেনি। ঝড় শুরু হলে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।'
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত একজন নিখোঁজ ছিল। তার লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফলে উদ্ধার অভিযান শেষ হলো।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি
Comments