বৈদ্যের বাজারে প্রতিমার হাট

বৈদ্যের বাজারে প্রতিমার হাট
বৈদ্যের বাজারে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। ছবি: ইত্তেফাক
মেঘে মেঘে অনেক বেলা ঘনিয়ে এলো। আর কদিন পরেই শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে সামনে রেখে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটের নিভৃত পল্লী বৈদ্যের বাজার গ্রামে বসেছে প্রতিমা বিক্রির হাট। ব্যস্ত সময় পার করেছেন কারিগররা। আনন্দোৎসবের এই কাজে হাত বাড়িয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন অনেকেই।
এই হাটে গত সাত বছর ধরে শ্রী বৈদ্যনাথ মালাকার (৭০) প্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও ১৬ জন প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এখানকার ৭০ থেকে ৮০ জন কারিগররা প্রায় ২৫০টি প্রতিমা বানানতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। প্রতি বছর দেড় থেকে দুই মাস আগে থেকে তারা প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু করেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
বর্তমানে এলাকাটি প্রতিমার হাট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাদচারণায় মুখরিত হচ্ছে বৈদ্যের বাজার। কারিগর বৈদ্যনাথ মালাকার বলেন, প্রায় তিন যুগ ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছি। এবার কমপক্ষে ৩০টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করবো। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে সাত থেকে এগার হাজার টাকা খরচ পড়ে। বিক্রি হয় পনের থেকে আঠারো হাজার টাকায়। জেলার বাহিরেও আমাদের প্রতিমার কদর বেড়েছে।
কারিগর রিপন রায় (৩০) জানান, প্রায় ৬-৭ বছর যাবত এ এলাকায় প্রতিমার হাট বসে। এবার প্রায় ৩০টি প্রতিমার কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে ছয়জন শ্রমিকের ১০ দিনের মত সময় লাগে। কারিগর বিপুল কান্তি রায় (৩২) জানান, আমরা দুর্গাসহ সকল প্রতিমা তৈরি করি। সারা বছরই আমাদের কমবেশি কাজ থাকে। এই কাজ করে আমারা আর্থিকভাবে বেশ উপকৃত হচ্ছি।
ইত্তেফাক/অনি

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা