ভারতীয় তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে পাকিস্তানে বিয়ে, অতঃপর..!

ভারতীয় তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে পাকিস্তানে বিয়ে, অতঃপর..!
ভারতীয় শিখ তরুণী জগজিৎ কৌর ও পাকিস্তানি যুবক এহসান

লাগাতার ২৪ ঘণ্টা ধরে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছে লাহৌরের নানকানা সাহিব এলাকা। উত্তেজনার ঝড় পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল ভারতেও। অবশেষে সাময়িক স্বস্তি মিলল। বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হল অপহৃত শিখ তরুণীকে। যাকে তুলে নিয়ে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছিল মুসলিম যুবক এহসানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এহসান ও তার পরিবারের সদস্য মিলিয়ে মোট ৮ জনকে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায়, পাকিস্তানে শিখ তরুণীকে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অপহরণের রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। জোর করে ধর্মান্তরিত প্রক্রিয়া আগেও বহুবার হয়েছে। এবার টার্গেটে ছিল শিখ ও হিন্দু কিশোরীরা। অবিলম্বে এই প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত। এই ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
তাম্বু সাহিব গুরুদ্বারের গ্রন্থি (পুরোহিত) ভগবান সিংয়ের মেয়ে জগজিৎ কৌরকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল এহসান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শিখ পরিবারের দাবি ছিল, তাদের মেয়ের বয়স ১৭ বছর। নাবালিকা মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। তার উপর অত্যাচারও চালায় এহসান ও তার ভাইয়েরা। এরপর জগজিতের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করে এহসান। অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুলে শিখ পরিবারের পোস্ট করা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোটা নাননাকা সাহিব এলাকা জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এর মধ্যেই জগজিৎ ও এহসানের একটি ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরে মুসলিম যুবকের পাশে বসে রয়েছেন জগজিৎ। এমনকি, তিনি নিজেকে ১৯ বছর বয়সি বলে দাবি করে স্বেচ্ছায় এহসানকে বিয়ে করার কথাও বলছেন। এই ভিডিও সামনে আসার পরে উত্তেজনা আরও বাড়ে। শিখ পরিবার দাবি করে, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে এই সব বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পাকিস্তান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
ঘটনার খবর ছড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনও। দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট ও অকালি দলের নেতা মনজিনদার সিং সিরসা টুইট করে জানান, ভারত ও পাকিস্তান দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই আবেদন করা হয়েছে।  শিখ স্বাধীনতায় এভাবে হস্তক্ষেপ হতে থাকলে বিষয়টা জাতিসংঘ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেন হরভজন সিংও। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা