চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার বাড়িতে পানি জমলে দণ্ডিত হবেন মালিক

বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। ছবি: প্রথম আলোবিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। ছবি: প্রথম আলোযেসব ঘরবাড়িতে পানি জমে থাকছে, সেসবের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, বাসাবাড়িগুলোতে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই মালিকদের যদি এসবের কারণে কোনো ধারায় আইনের আওতায় আনা না যায়, তাহলে পরিবেশ আইনে হলেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার। আবদুল মান্নান তাঁদের সতর্ক করে বলেন, ‘এডিস মশার বিস্তারের সঙ্গে জড়িত কতজন মানুষকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা দেখতে চাই।’
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার আগে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা এবং পরে জেলা প্রশাসকদের সমন্বয় ও রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় জুন মাসের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো জুলাই মাসে কী রকম অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার সুপারিশ
বিচারকাজে সহযোগিতা করতে আসা সাক্ষীদের আগে যাতায়াত ভাতা দেওয়া হলেও এখন দেওয়া হয় না বলে আঞ্চলিক টাস্কফোর্সের সভায় তুলে ধরা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভাতা দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার অনুরোধ জানান।
সভায় বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের আদালতে ২২ শতাংশ বিচারকের শূন্যতা রয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনায় ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত আদালতের বিচারকশূন্যতা দূর করতে সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়। জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন আদালতে ৪১ হাজার ৪২৮টি মামলা পেন্ডিং রয়েছে বলে সভায় তুলে ধরা হয়।
তিন জেলায় হয়নি কোনো ভেজালবিরোধী অভিযান
জুলাই মাসে চট্টগ্রামের ১১টি জেলার মধ্যে ৩টিতে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিস্তার রোধে কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি। এই তিনটি জেলা হলো কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এ নিয়ে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি এর কারণ জানতে চেয়ে এসব জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানান। তবে অন্য ৮টি জেলায় জুলাই মাসে ভেজালবিরোধী ১৫০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে ২৯৯টি মামলা এবং ২৪ লাখ ১২ হাজার ৮১৬ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ২৯৯ জনকে দণ্ডিত করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শঙ্কর রঞ্জন সাহা, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রামের ১১ জেলার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা