চাঁদের কক্ষপথে ভারতের চন্দ্রযান-২
- Get link
- X
- Other Apps

প্রত্যাশার চেয়ে বেশি গতিবেগে চন্দ্রযানটি মহাশূন্যে হারিয়ে যেত। আবার গতিবেগ কম হলে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়তে পারত। এমন পরিস্থিতিতে চাঁদের কক্ষপথে পা রাখা চন্দ্রযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ ছিল। চন্দ্রযানের বেগ এবং উচ্চতা একেবারে সঠিক হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। ছোট্ট একটি ভুলের কারণে পুরো অভিযানটি ভেস্তে যেতে পারত।
ইসরোর এক চেয়ারম্যান কে সিভান উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘কাজটি শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ৩০ মিনিটের জন্য আমাদের হৃৎস্পন্দন থেমে গিয়েছিল। আরও তিনটি ধাপ পার হতে হবে। পরবর্তী ধাপটি আগামীকাল বেলা একটার দিকে সম্পন্ন হবে। সবচেয়ে বড় কাজটি শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর, ল্যান্ডারটি (মহাকাশযানের যে অংশ অবতরণের ক্ষমতাসম্পন্ন) সেদিন আলাদা হবে।’
ইসরো তাদের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে জানিয়েছে, এরপর ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি কক্ষপথে যেতে হবে চন্দ্রযানটিকে। এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে শেষ কক্ষপথে পৌঁছাবে যানটি। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-২ চাঁদের মেরুর নরম মাটিতে পৌঁছাবে।
চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণের প্রক্রিয়াটি খুব জটিল ছিল। কারণ, এটি প্রতি ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে ছুটেছে।
চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে চাঁদে অভিযান চালানো মাত্র চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। এর আগে ২০০৮ সালে ভারত প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান-১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে পানির খোঁজ চালায়। ২২ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে ৬৪০ টন ওজনের রকেট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২।
অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার নামে তিনটি আলাদা অংশ আছে চন্দ্রযান-২-এর। অরবিটারের কাজ চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি নেওয়া। বিক্রম নামে ল্যান্ডারের কাজ চাঁদে মাটির খোঁজ করা। আর প্রজ্ঞান নামে রোভারের কাজ পৃথিবীতে বিশ্লেষণের জন্য চাঁদের ছবি ও তথ্য পাঠানো।
এ অভিযান পরিচালনা করতে ভারতের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপি। এ অর্থ এর আগে পরিচালিত যেকোনো দেশের চন্দ্রাভিযানের খরচের চেয়ে কম।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments