কর্ণাটকেও বিজেপি, শপথ নিলেন ইয়েদুরাপ্পা

বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: রয়টার্সবিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: রয়টার্সভারতের কর্ণাটকেও রাজ্য সরকার গঠন করেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটির প্রবীণ নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শপথ নেন। এইচ ডি কুমারাস্বামীর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনের তিন দিন পর সরকার গঠনের দিকে এগোলো বিজেপি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে রাজ্যের গভর্নর বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়তে দেওয়ার সুযোগ চান বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এ সময় শুক্রবারই শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানান তিনি। এই প্রস্তাবে রাজি হন গভর্নর বাজুভাই বালা। এরপর আজ সন্ধ্যায় ৭৬ বছর বয়সী ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো শপথ নিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। তবে বিভিন্ন দলীয় সূত্র বলছে, আগামী সোমবারই আস্থা ভোটের ডাক দিতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা।
২২৫ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় এই মুহূর্তে বিধায়ক আছেন ২২২ জন। সেই হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আস্থা ভোটে ইয়েদুরাপ্পার প্রয়োজন হবে ১১২ ভোট। একজন স্বতন্ত্র বিধায়কসহ বিজেপি জোটের আসন রয়েছে ১০৬টি। কংগ্রেস ও বিজেডি জোটের আসনসংখ্যা ১০০। উল্লেখ্য, ১৭ বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কর্নাটকে কংগ্রেস ও বিজেডি জোট সরকারের পতন ঘটে।
বিএস ইয়েদুরাপ্পা আজ যে ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে কর্ণাটকের রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কিছুটা অবাকই হয়েছেন। দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে শুরু থেকেই সংশয়ে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ কারণে কর্ণাটকে রাজ্য সরকার গঠন নিয়েও দোলাচলে ছিল বিজেপি। কিন্তু শুক্রবার সকালে হুট করেই রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। দলীয় সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে সম্মতি পেয়েই ইয়েদুরাপ্পা সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইয়েদুরাপ্পাকে বেছে নেওয়া নিয়েও বিজেপিতে মতভেদ রয়েছে। বিজেপির ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে কাউকে দল ও সরকারে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় না। এই নিয়মেই বাদ দেওয়া হয়েছে লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশি, যশোবন্ত সিনহাসহ অনেককেই। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন কলরাজ মিশ্র। ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলেও উত্তর প্রদেশের ওই নেতাকে কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভার ভোটের স্বার্থে। ইয়েদুরাপ্পাও সেই দিক থেকে ব্যতিক্রমী হতে পারেন। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি ভোটে লড়েছিল। জোট সরকারের পতনে প্রধান উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি। ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী করা না হলে বিজেপির পক্ষে কর্ণাটক শাসন করাও অসম্ভব।
কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা কখনোই মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইয়েদুরাপ্পা। এদিকে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য কংগ্রেস বলেছে, ইয়েদুরাপ্পা একজন দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি এবং গণতন্ত্রকে দমিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি সিদ্ধহস্ত। ২০০৮-২০১১ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর ঠিকানা হয়েছিল কারাগার। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে।
 à¦ªà§à¦°à¦¥à¦® আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা