লাদেনের খোঁজ দেওয়া চিকিৎসককে মুক্তি দিতে ইমরানের কাছে আহ্বান জানাতে পারেন ট্রাম্প

শাকিল আফ্রিদিশাকিল আফ্রিদিআন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ দেওয়া চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি এখনো পাকিস্তানের কারাগারে আছেন। তাঁকে ফিরে পেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন করেছে আফ্রিদির পরিবার।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে শাকিল আফ্রিদির মুক্তির জন্য আহ্বান জানাতে পারেন ট্রাম্প।
৯/১১-এর হামলার পর তন্ন তন্ন করে লাদেনের খোঁজ করছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করছিলেন তিনি। কাউকে নিজের উপস্থিতি বুঝতে দেননি। তবে লাদেনের খোঁজ পেয়েছিলেন চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি। সেই খবর তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কাছে। এরপরই ২০১১ সালের ২ মে লাদেনের খোঁজে ওই বাড়িতে হামলা চালায় ইউএস নেভি সিল। লাদেনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর এক মামলায় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী আছেন চিকিৎসক আফ্রিদি। এবার হয়তো তাঁর কপাল খুলতে পারে। কারণ, ইমরান খানের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে শাকিল আফ্রিদির মুক্তির আবেদন করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরিবারের সদস্যকে ফিরে পেতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেছে আফ্রিদির পরিবার। তাদের ভাষ্য, কারাগারের মধ্যে যেখানে আফ্রিদিকে রাখা হয়েছে, সেখানে কোনো জানালা নেই। ঘরে আলো নেই। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাঁকে থাকতে হয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইমরান খান। ২২ জুলাই তিন দিনের মার্কিন সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ইমরানের বৈঠক হবে ট্রাম্পের সঙ্গে। বৈঠকে শাকিল আফ্রিদিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকাবাসীর কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওই অঞ্চলে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এবং নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে পাকিস্তানের অবশ্যই শাকিল আফ্রিদিকে মুক্তি দেওয়া উচিত। অনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। এর অবসান হওয়া উচিত। 

লাদেনের খোঁজ দেওয়ায় শাকিল আফ্রিদিকে ‘নায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরের একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকার সময় মার্কিন কমান্ডো হামলায় আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। সেনা গ্যারিসন ঘেরা অ্যাবোটাবাদ শহরের এ বাড়িতেই ২০১১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। উঁচু দেয়ালে ঘেরা তিনতলা বাড়িটিতে পরিচয় গোপন করে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাস করছিলেন তিনি। তথ্যসূত্র: পিটিআই
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা