মোদি ও প্রিয়াঙ্কার পাল্টাপাল্টি আক্রমণ
- Get link
- X
- Other Apps

মোদি গতকাল বুধবার তাঁর ব্লগে লিখেছেন, হতাশার বিষয় হলো, কংগ্রেসের দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। কোনো নেতা যদি কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তবে তাঁকে পার্টি ছাড়তে হবে। এর জবাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘মানুষ বোকা, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।’
মোদির এই ব্লগের শিরোনাম ‘প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান এবং প্রাতিষ্ঠানিক অবমাননা’। এতে তিনি লিখেছেন, সব সময় প্রতিরক্ষা খাতকে আয়ের উৎস মনে করে কংগ্রেস। এই কারণে সশস্ত্র বাহিনী যে সম্মান পাওয়ার কথা, তা কংগ্রেসের কাছ থেকে কখনো পায়নি। ১৯৪৭ সালের পর প্রতিটি কংগ্রেস সরকারের আমলে প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এসব জালিয়াতির মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে একটি পরিবারের যোগসূত্র রয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর আদালতে বলেছিলেন, ২০১৩ সালের অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার দুর্নীতি মামলায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিস্টিয়ান মিশেল জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতে সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ছেলে জড়িত।
কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি সরকার রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল করে ফেলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোদি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমান্তরালে কাজ করার জন্য ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এরপরও কংগ্রেস রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলে? তিনি আরও লিখেছেন, যখন একটি সরকার ‘পরিবার প্রথম’ নীতি বাদ দিয়ে ‘ভারত প্রথম’ নীতিতে কাজ করে, তখন এটা স্পষ্ট, সরকার কাজ করছে।
মোদি যখন এই ব্লগ প্রকাশ করলেন, তখন উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত প্রিয়াঙ্কা। তিন দিনের গঙ্গাযাত্রা করছেন তিনি। নদীতীরবর্তী মানুষদের কাছে ভোট চাইতেই এই প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। মোদির এই ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বিগত পাঁচ বছরে কৌশলে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জনগণ বোকা এই চিন্তা বন্ধ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘তাদের হাতে যখন ক্ষমতা গেছে, তাদের মাথায় দুটি ভুল ধারণা ঢুকে গেছে। এক, মানুষকে ভুল পথে নেওয়া খুব সহজ। আরেকটি হলো, যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা ভয় পায়। তারা যাই করুক, আমরা ভীত নই। সর্বোচ্চ তারা আমাদের হয়রানি করবে। কিন্তু আমরা লড়াই করে যাব।’

- Get link
- X
- Other Apps
Comments