প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় কংগ্রেস-বিজেপিকে টেক্কা সিপিএমের
- Get link
- X
- Other Apps

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় সরকার বা বিরোধী পক্ষের জোটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মঙ্গলবার আগরতলায় সিপিএমের সদর দপ্তরে রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধর তাঁদের দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। দুজনই ভারতীয় লোকসভায় ২০১৪ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জিতেন চৌধুরী আগে দীর্ঘদিন ত্রিপুরার মন্ত্রী ছিলেন। দলের উপজাতি গণসংগঠনের নেতা তিনি। আর শঙ্করপ্রসাদ দত্ত শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সম্পাদক।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলেও আগরতলায় সেই সম্ভাবনা আর নেই। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজন ধর বলেন, ‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ই আমাদের শত্রু। এখানে বিজেপিকে পরাস্ত করাই বামদের প্রধান লক্ষ্য।’
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলেও আগরতলায় সেই সম্ভাবনা আর নেই। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজন ধর বলেন, ‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ই আমাদের শত্রু। এখানে বিজেপিকে পরাস্ত করাই বামদের প্রধান লক্ষ্য।’
বিরোধী দলের এই পরিস্থিতির মধ্যে শাসক জোটেও রয়েছে বিরোধ। মঙ্গলবারই ত্রিপুরায় বিজেপির জোট শরিক ও আঞ্চলিক দল আইপিএফটি জানিয়ে দিয়েছে, তারা দুটি আসনেই লড়তে প্রস্তুত। আইপিএফটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি তোলেন, একটি আসন তাঁদের না দিলে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে দুটি আসনেই প্রার্থী দেবেন।
বিজেপি অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, দুটি আসনেই তারা প্রার্থী দিচ্ছে। এই অবস্থায় আগামীকাল বুধবার ত্রিপুরায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। তিনি এলেই বিজেপি শিবিরের জোট জটিলতা কাটতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
এ অবস্থায় ত্রিপুরায় চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই প্রবল। ভোট হবে আগামী ১১ ও ১৮ এপ্রিল। আর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ ও ২৬ মার্চ।
এ অবস্থায় অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিল সিপিএম। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের আগরতলায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বিশাল মিছিল বের করে দলটি।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments