গুজব নিয়ে সরব মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এএনআইপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: এএনআইভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার জেরে দেশটির বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজবের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে গুজবের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল শনিবার রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মমতা বলেছেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে পুলিশকে জানান।’
মমতার বক্তব্যের আগে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকও গতকাল পশ্চিমবঙ্গবাসীকে গুজবের ব্যাপারে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে শান্ত রাজ্যকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সাবধান। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো গুজব ছড়ানো হলে কেউ রেহাই পাবে না। তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।
সিএবি দপ্তরের কাছে বিক্ষোভ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিসিএবি দপ্তরের কাছে বিক্ষোভ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিপাশাপাশি ডিজি প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপারদের যেকোনো গুজবের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুজবের জেরে রাজ্যে গণপিটুনি বেড়ে গেছে। গুজবের ঘটনায় পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। এই সেল বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ওপর নজরদারি চালাবে। গোটা বিষয়টি মনিটরিং করবে রাজ্য পুলিশ। তা ছাড়া প্রতিটি জেলায় সাইবার থানা খোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিও এখনো উত্তপ্ত। হামলা নিন্দা জানিয়ে প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। জানানো হচ্ছে ধিক্কার। কোনো কোনো সংগঠন পাকিস্তানি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবিও তুলছে। 

এক নারী বিক্ষোভকারীকে তুলে নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিএক নারী বিক্ষোভকারীকে তুলে নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিকলকাতার ইডেন গার্ডেনে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) দপ্তর থেকে সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামদের ছবি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ করে বিজেপির যুবসংগঠন যুব মোর্চার একদল সমর্থক। এ সময় পুলিশের সঙ্গে যুব মোর্চার কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ একপর্যায়ে যুব মোর্চার কর্মীদের আটক করে লালবাজার থানায় নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবির সমর্থনে সিএবির সভাপতি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। বিজেপির নেতা রাজু গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির ৬৩ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা