‘মোদি নয় মাডি, দুর্নীতির ঠাকুরদা’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: প্রথম আলোভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: প্রথম আলোপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘এই রাজ্যে চলছে দুর্নীতিবাজদের সরকার।’ মমতাও কম যান না! মোদিকে বিদ্রূপ করে ডাকছেন ‘মাডি’ (কর্দমাক্ত), ‘দুর্নীতির ঠাকুরদা’ বলে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে বিজেপির এক জনসভায় ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ সরকার’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, সারদা, রোজভ্যালি, নারদ—এসব চিটফান্ড দুর্নীতিকাণ্ড থেকে এবার কেউ পার পাবে না। জড়িত আর কাউকে ছাড়া হবে না। হটিয়ে দিতে হবে বাংলার দুর্নীতিবাজ এই মমতা সরকারকে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: প্রথম আলোপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: প্রথম আলোমোদির এই ভাষণের পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মমতা। গতকাল বিকেলে তড়িঘড়ি করে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলন করে একহাত নেন মোদিকে। বলেন, ‘মোদি তো দুর্নীতির গুরুঠাকুর। ঠাকুরদা। চোরের মায়ের বড় গলা! যিনি দুর্নীতির কথা বলছেন, সেই মোদিই তো দুর্নীতির গুরুঠাকুর। এই রকম এক ব্যক্তিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাবতে লজ্জা হয়!’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে ‘মাডি’ (কর্দমাক্ত) বলে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মাডি সরকার ভীতসন্ত্রস্ত। যারা ভয় পায়, তারাই তো ভয় দেখায়। বিরোধীরা এবার একজোট হয়েছে বলে ওরা আরও ভয় পেয়েছে। তাই ভূরি ভূরি মিথ্যে বলছে।’ মমতা মোদিকে হুংকার দিয়ে বলেন, ‘মাডি, আমাকে চেনেন না। আমি আপাদমস্তক মার খেয়ে, রাস্তায় লড়াই করতে করতে রাজনীতি করেছি। উনি এলেন কবে? কদিন রাজনীতি করছেন? ভয় দেখিয়ে আমার মাথা নোয়ানো যাবে না। সব বিরোধী দল এখন একজোট। এক সুর—মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও।’ 

মমতা বলেন, ‘চা বিক্রি করার অতীত টেনে মোদি মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। অথচ উনি কোনো দিন চা বেচেননি। চা-ও বানাননি। উনি তো ভোটের আগে চা-ওয়ালা, ভোটের পর রাফালওয়ালা! উনি রাফাল দুর্নীতির মূল কারিগর, নোট বাতিলের হোতা, দুর্নীতির শিরোমণি, ঔদ্ধত্যের প্রতীক।’

গতকাল বিকেলে জলপাইগুড়িতে মোদি বলেছিলেন, খুনের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা। সিন্ডিকেট রাজত্ব কায়েম হয়েছে এই রাজ্যে। চলছে দুর্নীতিবাজদের সরকার। এই সরকার চিটফান্ডের মাধ্যমে গরিবের টাকা লুট করেছে। সেই লুটেরাদের বাঁচাতে এখন ধরনায় বসছেন মমতা। মমতার উদ্দেশে মোদির প্রশ্ন, ‘আর কত ধরনা দেবেন দুর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের বাঁচানোর জন্য? চিটফান্ডকাণ্ডে কাউকে ছাড়া হবে না। কয়টা ধরনা করবেন করুন। কিন্তু লুটেরারা বাঁচাতে পারবেন না।’ 

মোদি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে তাঁর টানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমার চায়ের সম্পর্ক। তাই চা-ওয়ালাকে এত ভয় কিসের দিদির?’
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা