সৌদি থেকে পালানো দুই ইসলামত্যাগী কিশোরী আটক

সৌদি থেকে পালানো দুই ইসলামত্যাগী কিশোরী আটক
সৌদি আরবে তাদের ওপর অনেক নির্যাতন চালানো হয় বলে উল্লেখ করেছেন ওই দুই কিশোরী। ছবি: সংগৃহীত।
আবারো বাড়ি থেকে পালানো দুই ইসলামত্যাগী সৌদি তরুণীকে হংকংয়ের বিমান বন্দরে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই দুই তরুণী জানায়, তারা হংকং থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলো এমন সময় সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের আটকে দেয়।


ওই দুই তরুণী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন এবং তাদের সৌদিতে নিয়ে গেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ওই দুই সৌদি তরুণীর একজনের বয়স ২০ আরেক জনের বয়স ১৮। তারা একে অপরের বোন।
ওই দুই তরুণীর প্রতিনিধি জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি থেকে হংকংয়ে তারা পালিয়ে আসে এবং অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তারা দীর্ঘ দিন ধরে সৌদিতে নানা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
হংকংয়ে ৬ মাস ধরে লুকিয়ে বসবাস করছিলেন তারা।
এক বিবৃতিতে ওই দুই তরুণী জানান, আমরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছি, আমরা আশা করছি আমরা এমন একটি দেশে আশ্রয় পাবো যেখানে নারীদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং নারীদের সমান চোখে দেখা হয়। বিবৃতিটি বিশিষ্ট আইনজীবী মাইকেল ভিলার শেয়ার করেছেন।
এর আগেও সৌদি থেকে পালানো ধর্মত্যাগী তরুণী আল কুনুনকে বিমানবন্দরে আটকের ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় হয়েছিল।
ওই আইনজীবীর বিবৃতি বলা হয়েছে, ওই দুই তরুণীকে যাত্রাবিরতিতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি আটক করে তাদের পার্সপোর্ট কেড়ে নেয় এবং তাদের সৌদিতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া ওই দুই তরুণীর পরবর্তী ফ্লাইটের টিকিট ও বাতিল করে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সৌদি প্রশাসনের লোক বলে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের অভিভাকত্ব আইন অনুযায়ী বাবার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরেও যেতে পারে না মেয়েরা। বাবার আদেশ না মানলে যেতে হয় জেলে। এছাড়া সৌদি আরবে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তথ্য সূত্র: এনডিটিভি, গার্ডিয়ান।
ইত্তেফাক/এসআর

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য