৭০টি লাশ উদ্ধার, আরও থাকতে পারে: আইজিপি
- Get link
- X
- Other Apps

আইজিপি বলেন, এটা তো কেমিক্যাল গোডাউন। রাসায়নিক পদার্থ ছিল। ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ওই ভবনে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়েও পড়ে। আশপাশেও তা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। এখন পুরো ভবন খুঁজে দেখা হচ্ছে আর কোনো মৃতদেহ আছে কিনা। আমরা মনে করছি আরও কয়েকজনের মৃতদেহ থাকতে পারে। পুরো ভবনটি খুঁজে দেখার পর তা বোঝা যাবে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম। তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল যেগুলো গ্যাসে চলে। এই আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল যার ভেতর অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া তিনটি হেলিকপ্টার থেকে ওপর থেকে পানি দেওয়া হয় আগুন নেভানোর জন্য।
আবাসিক ভবনে রাসায়নিক গোডাউনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ ধরনের আবাসিক এলাকা, জনবহুল এলাকার মধ্যে কেমিক্যাল গোডাউন থাকা উচিত না। এখনই সময় এগুলো সরিয়ে নেওয়া। এ সময় সাংবাদিকেরা পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলোর ক্ষেত্রে অনেকগুলো পক্ষ কাজ করে। পুলিশ তো অবশ্যই ভূমিকা রাখবে, কাজ করবে। তবে তার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন এবং সরকারের যে অন্যান্য দপ্তর আছে যারা এগুলো মনিটর করে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সরানোর। এগুলো সরানোর কাজ এখনই শুরু করা উচিত।

- Get link
- X
- Other Apps
Comments