সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে আমির খান!
- Get link
- X
- Other Apps

রেস্তোরাঁ থেকে বাসায় ফিরে সেখানে তোলা একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন আমির খান। সেখানে লিখেছেন, ‘অনেক দিন পরে দারুণ খাবার খেয়েছি। ওরলিতে একটি নতুন রেস্তোরাঁ হয়েছে, অত্রিয় মলে। নাম মিজু। এখানে খুব ভালো জাপানি খাবার তৈরি হচ্ছে। সঙ্গে আছে দারুণ ডেজার্ট। শেফ লক্ষ্মণকে ধন্যবাদ। আরও ধন্যবাদ বেদান্তকে। এক মাসের মধ্যেই আবার এখানে আসছি।’ এই ছবিতে আমির খান আর ইরার সঙ্গে আছেন মিজুর শেফ লক্ষ্মণ ও বেদান্ত।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর আমির খান নতুন বছরের জন্য কিছু ওয়াদা করেছেন। বছরের শেষ দিন রাতে তা পোস্ট করেন টুইটারে। সেখানে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, নতুন বছরে সন্তানদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাবেন। সন্তান বলতে এখানে শুধু কিরণ রাও আর তাঁর ছেলে আজাদ রাও খানকেই মনে করেননি, পাশাপাশি জুনায়েদ ও ইরার কথা বলেছেন। আমির খানের বয়স এখন ৫৩। ক্যারিয়ারের শীর্ষে অবস্থান করছেন। যেসব অভাব সবাই অনুভব করে, তার সবই আছে আমির খানের। কিন্তু সবাই যেভাবে সন্তানদের কাছ থেকে ভালোবাসা পান, তেমনটা পান না আমির খান। পরম এই পাওয়া থেকে তিনি নিজেই নিজেকে বঞ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদ হলেও আমির খান ও রীনা দত্ত এখনো ভালো বন্ধু। আমির খানের পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন রীনা দত্ত। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি রীনা দত্ত সম্পর্কে আমির খান বলেন, ‘রীনা আমার পরিবারেরই একজন। চিরকাল সে আমার পরিবারের অংশ হয়েই থাকবে। আমার জীবনে তার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলে গেছে। আইনের দৃষ্টিতে আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মনে করি, আজও আমাদের মধ্যে যে শক্ত বন্ধন রয়ে গেছে, তা ভাঙার শক্তি এক টুকরো কাগজের নেই। আজও আমার হৃদয়ে রীনার জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জমা হয়ে আছে।’
ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে আমির খান আগেই বলেছেন, ‘জুনায়েদের ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই তার অভিনয় করা উচিত। জীবনে আসলে কী করতে চায়, সেই লক্ষ্য এখন পর্যন্ত স্থির করতে পারেনি জুনায়েদ। সে মনস্থির করলে এবং ভালো চিত্রনাট্য আমাদের হাতে এলে তাকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব রকম সহযোগিতা আমি করব। আর এমনটা করতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগবে আমার।’ জানা গেছে, আমির খান ছেলেকে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। বাবাকে নানা কাজে সহায়তা করছেন জুনায়েদ।
জীবন নিয়ে সব সময় অনিশ্চয়তায় ভোগেন আমির খান। বললেন, ‘খুঁটিনাটি অনেক বিষয় নিয়েই অনিশ্চয়তা কাজ করে আমার ভেতর। ব্যক্তিজীবনের নিরাপত্তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করার বাতিকও আছে আমার। এ জন্য পরিবারের সদস্যরা আমাকে “ক্যাপ্টেন কশন” বলে খ্যাপায়।’
আমির আরও বলেন, ‘ভালোবাসার মানুষদের হারানোর ভয়টাই সবচেয়ে বেশি কাজ করে আমার ভেতর। পেশাজীবন নিয়েও শঙ্কিত থাকি। কেবলই মনে হয়, জীবনের একটা পর্যায়ে পৌঁছে আমার হাতে আর কোনো কাজ থাকবে না। আমার সৃষ্টিশীলতাকে হারিয়ে ফেলব। আর আমিই হব শেষ ব্যক্তি, যে নিজের সৃষ্টিশীলতা হারানোর বিষয়টিকে ধরতে পারব। এ জন্য আমার কাজের সমালোচনাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করি। আমার কাজ নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে আমি মোটেও হেসে উড়িয়ে দিই না। সমালোচনাকে অনেক বেশি মূল্য দিই।’

- Get link
- X
- Other Apps
Comments