যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল কানাডা বিশ্ব
ফাইল ছবি।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বহিঃসমর্পণের মামলাগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন। চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের সিএফও মেং ওয়ানঝৌকে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের একদিন পর অটোয়ার পক্ষ থেকে এ প্রতিক্রিয়া এলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠা-তার কন্যা মেংয়ের বিরুদ্ধে বহুজাতিক বিভিন্ন ব্যাংককে ইরানের সঙ্গে লেনদেন বিষয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওয়াশিংটনের। ওইসব ভুল তথ্যের জন্য ব্যাংকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ইরান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন ও বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। মেং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হুয়াওয়ের এ প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বেইজিং।
এদিকে মঙ্গলবার রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কিংবা চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে সাহায্য করবে এমন সম্ভাবনা থাকলে মেংয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগের মামলায় তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রিল্যান্ড বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনি প্রক্রিয়াকে ছিনতাই করা উচিত নয়। বহিঃসমর্পণ বিষয়ে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলে মেংয়ের আইনজীবীরাও ট্রাম্পের মন্তব্যকে ব্যবহার করতে পারে বলে তার ধারণা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বহিঃসমর্পণ অংশীদারদের উচিত নয় বহিঃসমর্পণ প্রক্রিয়াকে রাজনীতিকরণ করা কিংবা বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ডের এ মন্তব্য কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও জটিলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
উত্তর আমেরিকান দেশগুলোর মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা মধ্যস্থতায় এমনিতেই অটোয়া ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রাম্প বহিঃসমর্পণের অনুরোধের অপব্যবহার করতে পারেন এমন আশঙ্কা আছে মার্কিনীদেরও।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো মেংকে হস্তান্তরে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেনি। অনুরোধ করলে কানাডার আদালতেই ব্যাপারটির ফয়সালা হবে। বিচারক হুয়াওয়ের সিএফওকে বহিঃসমর্পণের অনুরোধে সাড়া দিলে মেংকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন কানাডার বিচারমন্ত্রী।
ইত্তেফাক/নূহু
Comments