ফেসবুকে প্রেম বড় বালাই, ৬ বছর জেলে কাটিয়ে বুঝলেন যুবক
হামিদ নিহাল আনসারি। ছবি : সংগৃহিত
ফেসবুকে প্রেম, অতপর প্রেমিকার বিয়ে খবরে চোরাই পথে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে ছুটে যান ভারতের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হামিদ নিহাল আনসারি। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে আটক হন হামিদ। চোরাই পথে পাকিস্তানে প্রবেশের অপরাধে তাকে জেলে যেতে হয়।
সেখানে ৬ বছরের কারাদণ্ড শেষে মঙ্গলবার হামিদ জেল থেকে ছাড়া পান। অবশেষে শুক্রবার সকালে তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তিনি জানিয়ে দিলেন, ফেসবুকে কারও প্রেমে পড়বেন না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন হামিদ। মেয়েটি পাকিস্তানের বাসিন্দা। প্রেমিকার জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা জানতে পেরে পাকিস্তানে পাড়ি দেন হামিদ। সরকারি অনুমতি নেওয়ার তোয়াক্কা না করে আফগানিস্তান হয়ে চোরাই পথে তিনি প্রবেশ করেন সেদেশে। কিন্তু এর পরেই তাকে আটক করা হয়। চালান করে দেওয়া হয় কারাগারে। ঘটনাটা শাহরুখ-প্রীতি অভিনীত যশ চোপড়ার ছবি ‘বীর-জারা’র মতো মনে হলেও বাস্তবটা যে রুপোলি পর্দার জগৎ নয় তা বুঝে গিয়েছেন হামিদ। যে মেয়েটির জন্য তিনি সেদেশে গেলেন, তার সঙ্গে দেখা তো হলোই না। উলটে পচতে হলো জেলে।
২০১২ সাল থেকে পাকিস্তানের জেলে বন্দি হামিদ। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। তিন বছরের সাজা শোনানো হয় তাকে। চরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত হামিদের মৃত্যুদণ্ডের জন্যও দাবি ওঠে।
তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন। আর তার পরই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কখনও বাবা-মা’র কাছে কিছু গোপন করবেন না। একমাত্র তারাই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ান। এবং কখনও বেআইনিভাবে কোনও জায়গায় যাবেন না।’ এবেলা।
ইত্তেফাক/ইউবি
Comments